ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দ নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও তার বান্ধবীরা তাকে মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশুকিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দ নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও তার বান্ধবীরা তাকে মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশুকিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’