ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’

বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দ নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও তার বান্ধবীরা তাকে মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশুকিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর)

বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দ নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও তার বান্ধবীরা তাকে মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশুকিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’