ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আন্দোলনের হুমকি হাতপাখা প্রার্থীর

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে ফলাফল মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরা আন্দোলন করবো, আদালতের দারস্থ হবো।’

সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর ১০ মিনিট পরে নগরীর রূপাতলী হাউজিং আ. রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

ভোট দেওয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু দেখছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভোটের ফলাফল না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

ফলাফল মেনে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে ফলাফল যাই হোক না কেন অবশ্যই আমরা মেনে নেব।’

তিনি বলেন, ‘যদি ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।’

বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।

এই নির্বাচনে আরও ছয় জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।

পাশাপাশি সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দুই নারী সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম। মোট ছয় জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ মুহূর্তে চার জন তা প্রত্যাহার করেন।

ইসির তথ্যমতে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটকক্ষ ৮৯৪টি। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আন্দোলনের হুমকি হাতপাখা প্রার্থীর

আপডেট সময় ১২:১৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হলে ফলাফল মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরা আন্দোলন করবো, আদালতের দারস্থ হবো।’

সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর ১০ মিনিট পরে নগরীর রূপাতলী হাউজিং আ. রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

ভোট দেওয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু দেখছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভোটের ফলাফল না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

ফলাফল মেনে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে ফলাফল যাই হোক না কেন অবশ্যই আমরা মেনে নেব।’

তিনি বলেন, ‘যদি ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।’

বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।

এই নির্বাচনে আরও ছয় জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।

পাশাপাশি সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দুই নারী সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম। মোট ছয় জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ মুহূর্তে চার জন তা প্রত্যাহার করেন।

ইসির তথ্যমতে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটকক্ষ ৮৯৪টি। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।