রুবিনা আক্তার আঁখি (৩২) নামের এক নারী বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত রুবিনা আক্তার আঁখি (৩২) জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মো. বাপ্পি মিয়ার স্ত্রী।
বুধবার সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহম্মদ সানজুর মোর্শেদ জানান।
তার স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ওই গৃহবধূ নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাব সেন্টার কুমিল্লা নগরীর ডুলিপাড়া কেন্দ্রে অভ্যর্থনাকারী পদে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি অনলাইনে নারীদের পোশাক বিক্রি করতেন। গত বছর ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেন তিনি।
ওই নারীর স্বামী বাপ্পি জানান, সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করার শর্তে তার স্ত্রী এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কয়েকটি এনজিও হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে তার কিস্তি আসতো ৩০ হাজার টাকা। সম্প্রতি ব্যবসায় লোকসানের কারণে সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, নিহত আঁখির সাত বছর বয়সি একটি মেয়ে আছে। তার স্বামী চট্টগ্রামে একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আঁখি একটি কিন্ডার গার্টেনে চাকরি করতেন। পরে করোনার সময় সেই চাকরি হারান। এরপর চাকরি নেন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। “ঋণের কিস্তি পরিাশোধ করতে না পারায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানাতে পেরেছি।”
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ইয়ামিন সুমন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।