ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুশি Logo বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না স্নেহার — সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল এক সম্ভাবনার প্রদীপ Logo “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের বিজয়-বার্তা—সুনামগঞ্জে জেলা বিএনপির বিশাল গণমিছিল” Logo সুনামগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত Logo ছাতকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দ মিছিল করলো জামায়াতে ইসলামী Logo মধ্যনগরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। Logo শান্তিগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে জমিয়তের ঐতিহাসিক গণমিছিল ও আলোচনাসভা Logo গণঅভ্যুত্থান দিবসে শান্তিগঞ্জে বিএনপির গণজোয়ার:ব্যারিস্টার আনোয়ারই জনআস্থার নাম Logo গণজাগরণে শান্তিগঞ্জ, চেতনায় ৩৬ জুলাই—জামায়াতের বিশাল মিছিল Logo শান্তিগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পের উদ্যােগে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুশি

  • আব্দুল্লাহ নাঈম
  • আপডেট সময় ০১:২৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫০৪ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
জন্মদিনে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার কথা ছিল আফসানা জাহান খুশির। কিন্তু সেই বিশেষ দিনটি পরিণত হলো এক বেদনাবিধুর বিদায়ে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে, বাহাদুরপুর এলাকায়। খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জগামী একটি সিএনজিতে, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আফসানা জাহান খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ কন্যা। শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, খুশি ছিলেন পরিবারের সবার আদরের। বড় বোন বিবাহিত হওয়ায় মা-বাবার চোখের মণি ছিল সে। জন্মদিনের আনন্দ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বুধবার সকালে না খেয়েই বেরিয়ে পড়ে ইন্সটিটিউটের উদ্দেশ্যে। অথচ খুশির বাবা সেদিন তাকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা করা ছিল—বান্ধবীদের নিয়ে বিশেষ খাওয়াদাওয়া হবে। সেই উদ্দেশ্যেই যাওয়া, কিন্তু ফেরা হয়নি আর।
দুর্ঘটনার পর খুশির মরদেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে, বাবাও প্রথমে চিনে উঠতে পারেননি মেয়েকে। পরে আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় শনাক্ত করা হয় মরদেহ।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। খুশির বাবা দেলোয়ার হোসেন কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন,
“আজ তার জন্মদিন আছিল। বান্ধবিরা যাইবার জন্য কইছে, বান্ধবিরে খাওয়াইতো আছিল। এমন খাওয়ানি খাওয়াইলো… আমার মেয়ে আর ফেরত আইলো না।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ের স্বপ্ন আছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অইবার।”
কথা বলতে বলতে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল তার। আশপাশে থাকা মানুষজনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুশি

জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুশি

আপডেট সময় ০১:২৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
জন্মদিনে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার কথা ছিল আফসানা জাহান খুশির। কিন্তু সেই বিশেষ দিনটি পরিণত হলো এক বেদনাবিধুর বিদায়ে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে, বাহাদুরপুর এলাকায়। খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জগামী একটি সিএনজিতে, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আফসানা জাহান খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ কন্যা। শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, খুশি ছিলেন পরিবারের সবার আদরের। বড় বোন বিবাহিত হওয়ায় মা-বাবার চোখের মণি ছিল সে। জন্মদিনের আনন্দ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বুধবার সকালে না খেয়েই বেরিয়ে পড়ে ইন্সটিটিউটের উদ্দেশ্যে। অথচ খুশির বাবা সেদিন তাকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা করা ছিল—বান্ধবীদের নিয়ে বিশেষ খাওয়াদাওয়া হবে। সেই উদ্দেশ্যেই যাওয়া, কিন্তু ফেরা হয়নি আর।
দুর্ঘটনার পর খুশির মরদেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে, বাবাও প্রথমে চিনে উঠতে পারেননি মেয়েকে। পরে আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় শনাক্ত করা হয় মরদেহ।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। খুশির বাবা দেলোয়ার হোসেন কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন,
“আজ তার জন্মদিন আছিল। বান্ধবিরা যাইবার জন্য কইছে, বান্ধবিরে খাওয়াইতো আছিল। এমন খাওয়ানি খাওয়াইলো… আমার মেয়ে আর ফেরত আইলো না।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ের স্বপ্ন আছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অইবার।”
কথা বলতে বলতে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল তার। আশপাশে থাকা মানুষজনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।