ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কবরস্থানে নির্মিত স্থাপনা সম্পূর্ণরুপে উচ্ছেদ ও উক্ত স্থানে ঈদগাহ নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন Logo শালিস বৈঠকে শেষ হলো পাথারিয়া-গাজীনগর গ্রামের দ্বন্দ্ব Logo ফিলিস্তিনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে সুবিপ্রবিতে র‍্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশ Logo ওয়ারেন্ট ভুক্ত তিন আসামী গ্রেফতার Logo ফিলিস্তিনের উপর হামলার প্রতিবাদে শান্তিগঞ্জের গনিগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল Logo শান্তিগঞ্জের আসামমুড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে মাসব্যাপী কোরআন প্রশিক্ষণ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান Logo সুনামগঞ্জে নবনিযুক্ত দিরাই ও ছাতক সার্কেল কর্মকর্তার যোগদান Logo জগন্নাথপুর রক্তদান সংস্থা’র ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত Logo ধর্মপাশায় অটোরিকশার ধাক্কায় ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ১২ হাজার ৩৯১ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৯৯২ জন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে সরকারের সাড়াদান নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজ সরকার সমর্থন করে তিনি বলেন, পর পর যে ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্প ঘটেছে, তাতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়াদান খুব একটা সহজ ছিল না।

অনেক তুর্কি নাগরিক পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও সহায়তার অভাবের অভিযোগ করে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া জীবিত ব্যক্তিরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কান্না করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীর অভাবে তাদের ‍উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

jagonews24

সমালোচকদের দাবি, জরুরি বিভাগগুলোর প্রতিক্রিয়া খুবই ধীর ছিল। পাশাপাশি সরকারের প্রস্তুতিতেও ঘাটতি ছিল। এরদোয়ানও বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকার কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রিত। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চলছে।

তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু দ্বিমত পোষণ করে বলেন, যদি এত বিশাল হতাহতের জন্য কেউ দায়ী থাকেন, তবে তিনি হলেন এরদোয়ান। তার এ দাবি অস্বীকার করে এরদোয়ান বলেন, দুর্যোগের পর সবার মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। দেশের এমন সংকটময় সময়েও যারা রাজনৈতিক স্বার্থে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এখন নয়।

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার কেবল ইদলিব প্রদেশেই মারা গেছেন এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এমন অবস্থায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এক উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে বাধা দিচ্ছে।

‘আমাদের পর্যাপ্ত বুলডোজার ও ক্রেন নেই। তাছাড়া ইউরোপীয় ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে উদ্ধারকাজ ও সহায়তা পাওয়ার সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে।’

এদিকে, ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জাতিসংঘের সহয়তা কার্যক্রম। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় সহায়তা সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় সংস্থাটি।

যদিও এর জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, খুব শিগগির সিরিয়ায় সহায়তা সরবরাহ চালু হতে পারে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু নিশ্চিত করেছেন, সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছানোর সুবিধার্থে আরও দুটি সীমান্ত গেট খুলে দেওয়া হবে।

ইউরোপী ইউনিয়ন (ইইউ) নিশ্চিত করেছে, সিরিয়া সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তা বাবদ ৩০ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দেওয়া হবে। তবে, ওই অর্থ অবশ্যই সরকারি ও বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে কবরস্থানে নির্মিত স্থাপনা সম্পূর্ণরুপে উচ্ছেদ ও উক্ত স্থানে ঈদগাহ নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার

আপডেট সময় ১২:০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ১২ হাজার ৩৯১ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৯৯২ জন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে সরকারের সাড়াদান নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজ সরকার সমর্থন করে তিনি বলেন, পর পর যে ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্প ঘটেছে, তাতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়াদান খুব একটা সহজ ছিল না।

অনেক তুর্কি নাগরিক পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও সহায়তার অভাবের অভিযোগ করে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া জীবিত ব্যক্তিরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কান্না করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীর অভাবে তাদের ‍উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

jagonews24

সমালোচকদের দাবি, জরুরি বিভাগগুলোর প্রতিক্রিয়া খুবই ধীর ছিল। পাশাপাশি সরকারের প্রস্তুতিতেও ঘাটতি ছিল। এরদোয়ানও বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকার কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রিত। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চলছে।

তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু দ্বিমত পোষণ করে বলেন, যদি এত বিশাল হতাহতের জন্য কেউ দায়ী থাকেন, তবে তিনি হলেন এরদোয়ান। তার এ দাবি অস্বীকার করে এরদোয়ান বলেন, দুর্যোগের পর সবার মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। দেশের এমন সংকটময় সময়েও যারা রাজনৈতিক স্বার্থে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এখন নয়।

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার কেবল ইদলিব প্রদেশেই মারা গেছেন এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এমন অবস্থায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এক উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে বাধা দিচ্ছে।

‘আমাদের পর্যাপ্ত বুলডোজার ও ক্রেন নেই। তাছাড়া ইউরোপীয় ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে উদ্ধারকাজ ও সহায়তা পাওয়ার সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে।’

এদিকে, ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জাতিসংঘের সহয়তা কার্যক্রম। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় সহায়তা সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় সংস্থাটি।

যদিও এর জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, খুব শিগগির সিরিয়ায় সহায়তা সরবরাহ চালু হতে পারে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু নিশ্চিত করেছেন, সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছানোর সুবিধার্থে আরও দুটি সীমান্ত গেট খুলে দেওয়া হবে।

ইউরোপী ইউনিয়ন (ইইউ) নিশ্চিত করেছে, সিরিয়া সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তা বাবদ ৩০ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দেওয়া হবে। তবে, ওই অর্থ অবশ্যই সরকারি ও বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে।