ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

দিনে ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখেন তিনি, কোন নিয়মে রাখবেন রোজা

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুলতানকে বহনকারী মহাকাশ ল্যাবরেটরি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। তিনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন,পবিত্র রমজান মাসে ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত না খেয়ে রোজা রাখেন মুসলিমরা। কিন্তু এই উপবাস করার সময়টি পৃথিবীর সব জায়গায় এক নয়। মূলত সূর্য ওঠা ও ডুবে যাওয়ার ওপর উপবাসের সময় নির্ভর করে।এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নভোচারী সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে অবস্থান করছেন। তিনি ছয় মাস মহাকাশে থাকবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুলতানকে বহনকারী মহাকাশ ল্যাবরেটরি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। তিনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, রোজার নিয়ম হলো, সূর্যোদয়ের আগে সাহ্‌রি খেতে হবে এবং তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে। আলনিয়াদির ক্ষেত্রে কোন নিয়ম প্রযোজ্য হবে?গত ৩ মার্চ সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্নটি উঠতে শুরু করে। এ প্রশ্নের উত্তর গত জানুয়ারি মাসেই এক সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছিলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আলনিয়াদির কাছে জানতে চাওয়া হয়, “যখন মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন, তখন আপনি কীভাবে রোজা রাখবেন?” জবাবে মুসলমান এই নভোচারী বলেন, “মহাকাশে অবস্থান করার সময় আমি একজন ভ্রমণকারী হিসেবে বিবেচিত হব, তখন রোজা রাখা আমার জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। এমনকি আপনি যদি ভালো বোধ না করেন, তাহলেও আপনার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।”আলনিয়াদি বলেন, “যেহেতু মহাকাশের যেকোনো কিছু মিশনকে ধ্বংস করতে পারে বা ক্রুদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে, তাই ডিহাইড্রেশন ও অপুষ্টি এড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আলনিয়াদি বলেছিলেন, “আমি চাইলে গ্রিনিচ টাইম বা আর্থ টাইম অনুযায়ী রোজা রাখতে পারি, যা অফিশিয়াল স্পেস টাইম হিসেবে বিবেচিত হয়।”আলনিয়াদি আগেও বলেছেন, “তিনি যদি রোজা রাখার সুযোগ পান, তাহলে তিনি তা পালন করবেন। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমি অপেক্ষা করব এবং দেখব, রোজা রাখা যায় কি-না।”

মহাশূন্যে ধর্মপালন

মহাশূন্যযাত্রার শুরু থেকেই মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে নানাভাবে ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন। ১৯৬৮ সালে নাসার অ্যাপোলো ৮ মিশনে নভোচারীরা চাঁদে যাওয়ার পথে বাইবেলের প্রথম বই জেনেসিস পাঠ করেন। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ান নভোচারী শেখ মুজাফর শুকুর প্রথম ধর্মপালনকারী (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করেন। ইসলামিক ন্যাশনাল ফতোয়া কাউন্সিল অভ মালয়েশিয়া তার ও ভবিষ্যৎ মুসলিম নভোচারীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রদান করে।মুজাফর রমজানে মহাশূন্যে পাড়ি দিলেও কাউন্সিল বলে যে, পৃথিবীতে ফেরার আগপর্যন্ত তিনি রোজা না রাখলেও চলবে, অথবা তিনি চাইলে যে জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করেছেন সেখানকার টাইম জোন অনুসারে রোজা রাখতে পারবেন। এছাড়া কাউন্সিলের পক্ষ মুজাফরকে বলা হয়, নামাজ পড়ার সময় তাকে হাঁটু গেড়ে না বসলেও চলবে (শূন্য মাধ্যাকর্ষণে এ কাজটি অত্যন্ত কঠিন)। ফতোয়া কাউন্সিলের নির্দেশিকায় কিবলামুখী হয়ে অর্থাৎ মক্কার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয় মুজাফরের জন্য। বলা হয়, এটি তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু করলেই হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার

দিনে ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখেন তিনি, কোন নিয়মে রাখবেন রোজা

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুলতানকে বহনকারী মহাকাশ ল্যাবরেটরি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। তিনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন,পবিত্র রমজান মাসে ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত না খেয়ে রোজা রাখেন মুসলিমরা। কিন্তু এই উপবাস করার সময়টি পৃথিবীর সব জায়গায় এক নয়। মূলত সূর্য ওঠা ও ডুবে যাওয়ার ওপর উপবাসের সময় নির্ভর করে।এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নভোচারী সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে অবস্থান করছেন। তিনি ছয় মাস মহাকাশে থাকবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুলতানকে বহনকারী মহাকাশ ল্যাবরেটরি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। তিনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, রোজার নিয়ম হলো, সূর্যোদয়ের আগে সাহ্‌রি খেতে হবে এবং তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে। আলনিয়াদির ক্ষেত্রে কোন নিয়ম প্রযোজ্য হবে?গত ৩ মার্চ সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্নটি উঠতে শুরু করে। এ প্রশ্নের উত্তর গত জানুয়ারি মাসেই এক সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছিলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আলনিয়াদির কাছে জানতে চাওয়া হয়, “যখন মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন, তখন আপনি কীভাবে রোজা রাখবেন?” জবাবে মুসলমান এই নভোচারী বলেন, “মহাকাশে অবস্থান করার সময় আমি একজন ভ্রমণকারী হিসেবে বিবেচিত হব, তখন রোজা রাখা আমার জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। এমনকি আপনি যদি ভালো বোধ না করেন, তাহলেও আপনার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।”আলনিয়াদি বলেন, “যেহেতু মহাকাশের যেকোনো কিছু মিশনকে ধ্বংস করতে পারে বা ক্রুদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে, তাই ডিহাইড্রেশন ও অপুষ্টি এড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আলনিয়াদি বলেছিলেন, “আমি চাইলে গ্রিনিচ টাইম বা আর্থ টাইম অনুযায়ী রোজা রাখতে পারি, যা অফিশিয়াল স্পেস টাইম হিসেবে বিবেচিত হয়।”আলনিয়াদি আগেও বলেছেন, “তিনি যদি রোজা রাখার সুযোগ পান, তাহলে তিনি তা পালন করবেন। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমি অপেক্ষা করব এবং দেখব, রোজা রাখা যায় কি-না।”

মহাশূন্যে ধর্মপালন

মহাশূন্যযাত্রার শুরু থেকেই মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে নানাভাবে ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন। ১৯৬৮ সালে নাসার অ্যাপোলো ৮ মিশনে নভোচারীরা চাঁদে যাওয়ার পথে বাইবেলের প্রথম বই জেনেসিস পাঠ করেন। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ান নভোচারী শেখ মুজাফর শুকুর প্রথম ধর্মপালনকারী (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করেন। ইসলামিক ন্যাশনাল ফতোয়া কাউন্সিল অভ মালয়েশিয়া তার ও ভবিষ্যৎ মুসলিম নভোচারীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রদান করে।মুজাফর রমজানে মহাশূন্যে পাড়ি দিলেও কাউন্সিল বলে যে, পৃথিবীতে ফেরার আগপর্যন্ত তিনি রোজা না রাখলেও চলবে, অথবা তিনি চাইলে যে জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করেছেন সেখানকার টাইম জোন অনুসারে রোজা রাখতে পারবেন। এছাড়া কাউন্সিলের পক্ষ মুজাফরকে বলা হয়, নামাজ পড়ার সময় তাকে হাঁটু গেড়ে না বসলেও চলবে (শূন্য মাধ্যাকর্ষণে এ কাজটি অত্যন্ত কঠিন)। ফতোয়া কাউন্সিলের নির্দেশিকায় কিবলামুখী হয়ে অর্থাৎ মক্কার দিকে ফিরে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয় মুজাফরের জন্য। বলা হয়, এটি তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু করলেই হবে।