ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা 

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ‘ইমেজ সংকট’ আওয়ামী লীগ চিন্তা করছে কি?

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন।বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে গত তিন মাসে ৫৬জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও নানা প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছে।জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়তই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালাকানুন ব্যবহার করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দমন পীড়নের’ সমালোচনা করেছে। যদিও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সমালোচনা দিনকে দিন আরো প্রবল হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সমালোচনা নতুনভাবে সামনে এসেছে।প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার খবরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপরিচিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এনিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে এসব বিষয়কে ক্ষমতাসীনরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে? তারা কি আদৌ মনে করে যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তাদের ‘ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত’ করছে?অনেকে মনে করেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘ইমেজ সংকট’ তৈরি হয়েছে আরো আগে থেকেই।২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আরও দশ ধাপ পিছিয়েছিল।সূচকে বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে’ দায়ী করেছিলেন। ২০২২ সালের ২৪শে মে পিটার হাস ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এসব রিপোর্টে তাদের ‘ইমেজ’ ক্ষুন্ন হয়নি।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকার কখনো তার সমালোচনার জন্য কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার মতে সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায় প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাস্তবতার মিল নেই বলে মনে করেন তিনি।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব বিবৃতি বা প্রতিবেদন দিচ্ছে সেগুলোর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।মি. বড়ুয়া মনে করেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত তাই সরকারের ইমেজ নষ্টের প্রশ্নই নেই। বরং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একটি মহল থেকে রিপোর্ট নিয়ে যাচাই বাছাই না করে এবং সব পক্ষের সাথে কথা না বলেই প্রতিক্রিয়া দেখায়।“এখানে ইমেজ সংকটের বিষয় নেই। তবে আমরা আশা করবো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাচাই করে ও সবার সঙ্গে কথা বরে সত্যতা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলছেন যে আওয়ামী লীগের এবং সরকারের ইমেজ যে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এটা সরকারও বুঝতে পারে কিন্তু সুশাসন ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা না থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে।“ফলে কিছু ঘটে গেলে তখন উল্টো গণমাধ্যমকে দোষ দিয়ে সরকার নিজেদের জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। তবে সরকার এও জানে যে এসব বিষয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারেই নেই,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে গত তিন মাসে ৫৬জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও নানা প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছে।জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়তই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালাকানুন ব্যবহার করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দমন পীড়নের’ সমালোচনা করেছে। যদিও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সমালোচনা দিনকে দিন আরো প্রবল হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সমালোচনা নতুনভাবে সামনে এসেছে।প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার খবরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপরিচিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এনিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে এসব বিষয়কে ক্ষমতাসীনরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে? তারা কি আদৌ মনে করে যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তাদের ‘ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত’ করছে?অনেকে মনে করেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘ইমেজ সংকট’ তৈরি হয়েছে আরো আগে থেকেই।২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আরও দশ ধাপ পিছিয়েছিল।সূচকে বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে’ দায়ী করেছিলেন। ২০২২ সালের ২৪শে মে পিটার হাস ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এসব রিপোর্টে তাদের ‘ইমেজ’ ক্ষুন্ন হয়নি।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকার কখনো তার সমালোচনার জন্য কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার মতে সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায় প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাস্তবতার মিল নেই বলে মনে করেন তিনি।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব বিবৃতি বা প্রতিবেদন দিচ্ছে সেগুলোর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।মি. বড়ুয়া মনে করেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত তাই সরকারের ইমেজ নষ্টের প্রশ্নই নেই। বরং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একটি মহল থেকে রিপোর্ট নিয়ে যাচাই বাছাই না করে এবং সব পক্ষের সাথে কথা না বলেই প্রতিক্রিয়া দেখায়।“এখানে ইমেজ সংকটের বিষয় নেই। তবে আমরা আশা করবো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাচাই করে ও সবার সঙ্গে কথা বরে সত্যতা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে,” বলছিলেন তিনি।যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলছেন যে আওয়ামী লীগের এবং সরকারের ইমেজ যে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এটা সরকারও বুঝতে পারে কিন্তু সুশাসন ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা না থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে।“ফলে কিছু ঘটে গেলে তখন উল্টো গণমাধ্যমকে দোষ দিয়ে সরকার নিজেদের জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। তবে সরকার এও জানে যে এসব বিষয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারেই নেই,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ‘ইমেজ সংকট’ আওয়ামী লীগ চিন্তা করছে কি?

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন।বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে গত তিন মাসে ৫৬জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও নানা প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছে।জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়তই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালাকানুন ব্যবহার করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দমন পীড়নের’ সমালোচনা করেছে। যদিও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সমালোচনা দিনকে দিন আরো প্রবল হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সমালোচনা নতুনভাবে সামনে এসেছে।প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার খবরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপরিচিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এনিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে এসব বিষয়কে ক্ষমতাসীনরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে? তারা কি আদৌ মনে করে যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তাদের ‘ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত’ করছে?অনেকে মনে করেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘ইমেজ সংকট’ তৈরি হয়েছে আরো আগে থেকেই।২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আরও দশ ধাপ পিছিয়েছিল।সূচকে বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে’ দায়ী করেছিলেন। ২০২২ সালের ২৪শে মে পিটার হাস ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এসব রিপোর্টে তাদের ‘ইমেজ’ ক্ষুন্ন হয়নি।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকার কখনো তার সমালোচনার জন্য কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার মতে সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায় প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাস্তবতার মিল নেই বলে মনে করেন তিনি।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব বিবৃতি বা প্রতিবেদন দিচ্ছে সেগুলোর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।মি. বড়ুয়া মনে করেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত তাই সরকারের ইমেজ নষ্টের প্রশ্নই নেই। বরং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একটি মহল থেকে রিপোর্ট নিয়ে যাচাই বাছাই না করে এবং সব পক্ষের সাথে কথা না বলেই প্রতিক্রিয়া দেখায়।“এখানে ইমেজ সংকটের বিষয় নেই। তবে আমরা আশা করবো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাচাই করে ও সবার সঙ্গে কথা বরে সত্যতা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলছেন যে আওয়ামী লীগের এবং সরকারের ইমেজ যে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এটা সরকারও বুঝতে পারে কিন্তু সুশাসন ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা না থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে।“ফলে কিছু ঘটে গেলে তখন উল্টো গণমাধ্যমকে দোষ দিয়ে সরকার নিজেদের জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। তবে সরকার এও জানে যে এসব বিষয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারেই নেই,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে গত তিন মাসে ৫৬জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও নানা প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছে।জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়তই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালাকানুন ব্যবহার করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দমন পীড়নের’ সমালোচনা করেছে। যদিও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।সমালোচনা দিনকে দিন আরো প্রবল হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সমালোচনা নতুনভাবে সামনে এসেছে।প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার খবরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপরিচিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এনিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে এসব বিষয়কে ক্ষমতাসীনরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে? তারা কি আদৌ মনে করে যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তাদের ‘ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত’ করছে?অনেকে মনে করেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘ইমেজ সংকট’ তৈরি হয়েছে আরো আগে থেকেই।২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬২ তম স্থান পেয়েছিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আরও দশ ধাপ পিছিয়েছিল।সূচকে বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে’ দায়ী করেছিলেন। ২০২২ সালের ২৪শে মে পিটার হাস ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এসব রিপোর্টে তাদের ‘ইমেজ’ ক্ষুন্ন হয়নি।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকার কখনো তার সমালোচনার জন্য কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার মতে সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায় প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাস্তবতার মিল নেই বলে মনে করেন তিনি।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব বিবৃতি বা প্রতিবেদন দিচ্ছে সেগুলোর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।মি. বড়ুয়া মনে করেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত তাই সরকারের ইমেজ নষ্টের প্রশ্নই নেই। বরং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একটি মহল থেকে রিপোর্ট নিয়ে যাচাই বাছাই না করে এবং সব পক্ষের সাথে কথা না বলেই প্রতিক্রিয়া দেখায়।“এখানে ইমেজ সংকটের বিষয় নেই। তবে আমরা আশা করবো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাচাই করে ও সবার সঙ্গে কথা বরে সত্যতা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে,” বলছিলেন তিনি।যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলছেন যে আওয়ামী লীগের এবং সরকারের ইমেজ যে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এটা সরকারও বুঝতে পারে কিন্তু সুশাসন ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা না থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেই একের পর এক ঘটনা ঘটছে।“ফলে কিছু ঘটে গেলে তখন উল্টো গণমাধ্যমকে দোষ দিয়ে সরকার নিজেদের জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। তবে সরকার এও জানে যে এসব বিষয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারেই নেই,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।