ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে ছয়টি আইন বেশি বিতর্কিত হয়েছে

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ে এমন কিছু আইন এসেছে যেগুলো নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা সময়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে।এসব আইন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি আইন বাতিল হলেও অনেকগুলো আবার নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে।কী ছিল এসব আইন তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক-

বিশেষ ক্ষমতা আইন
বিশেষ ক্ষমতা আইনটি পাস করা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য যে কাউকে আটক করতে পারতো।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই আইনটি পাস করা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুদ্ধের পর পরই ওই সময়টাতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল, পুলিশ বাহিনী সুসংগঠিত ছিল না, বামপন্থীরা রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই আইনটি করা হয়েছিল।”আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস করে। আইন পাশের পর আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ বলেও অভিহিত করে।যেসব কারণে আইনটির সমালোচনা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইনটির অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে।এসব আইন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি আইন বাতিল হলেও অনেকগুলো আবার নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে।কী ছিল এসব আইন তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক-

বিশেষ ক্ষমতা আইন

বিশেষ ক্ষমতা আইনটি পাস করা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য যে কাউকে আটক করতে পারতো।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই আইনটি পাস করা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুদ্ধের পর পরই ওই সময়টাতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল, পুলিশ বাহিনী সুসংগঠিত ছিল না, বামপন্থীরা রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই আইনটি করা হয়েছিল।”আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস করে। আইন পাশের পর আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ বলেও অভিহিত করে।যেসব কারণে আইনটির সমালোচনা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইনটির অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে ছয়টি আইন বেশি বিতর্কিত হয়েছে

আপডেট সময় ১২:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ে এমন কিছু আইন এসেছে যেগুলো নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা সময়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে।এসব আইন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি আইন বাতিল হলেও অনেকগুলো আবার নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে।কী ছিল এসব আইন তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক-

বিশেষ ক্ষমতা আইন
বিশেষ ক্ষমতা আইনটি পাস করা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য যে কাউকে আটক করতে পারতো।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই আইনটি পাস করা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুদ্ধের পর পরই ওই সময়টাতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল, পুলিশ বাহিনী সুসংগঠিত ছিল না, বামপন্থীরা রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই আইনটি করা হয়েছিল।”আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস করে। আইন পাশের পর আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ বলেও অভিহিত করে।যেসব কারণে আইনটির সমালোচনা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইনটির অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে।এসব আইন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি আইন বাতিল হলেও অনেকগুলো আবার নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে।কী ছিল এসব আইন তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক-

বিশেষ ক্ষমতা আইন

বিশেষ ক্ষমতা আইনটি পাস করা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য যে কাউকে আটক করতে পারতো।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই আইনটি পাস করা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুদ্ধের পর পরই ওই সময়টাতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল, পুলিশ বাহিনী সুসংগঠিত ছিল না, বামপন্থীরা রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই আইনটি করা হয়েছিল।”আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস করে। আইন পাশের পর আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ বলেও অভিহিত করে।যেসব কারণে আইনটির সমালোচনা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইনটির অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে।