ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জামালগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo দিরাইয়ে ধান শুকানু নিয়ে যুবক নিহত Logo শান্তিগঞ্জে হঠাৎ করেই ধসে পড়ছে বসতঘর, খবর পেয়ে ছুটে গেলেন ইউএনও Logo মিথ্যা ও বানোয়াট বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিতে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর মানববন্ধন Logo সুবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo কুরআন বিরোধী প্রতিবেদন বাতিলের দাবীতে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ Logo দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা Logo এডঃ মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল সৈয়দপুর আদর্শ কলেজের সভাপতি নির্বাচিত, জগন্নাথপুর বিএনপি নেতৃবৃন্দ এর অভিনন্দন Logo কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে- খাদ্য উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, মিলছে কলেরার জীবাণুও

চট্টগ্রামে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪২১ জন ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের অনেকের শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণুও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রোগীর শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণু।ডায়রিয়া রোগীদের খোঁজ নিতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি করে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১২, সীতাকুণ্ডে ১৮, সন্দ্বীপে ২, ফটিকছড়িতে ১১, হাটহাজারীতে ১৩, রাউজানে ৬, রাঙ্গুনিয়ায় ১১, বোয়ালখালীতে ৫০, আনোয়ারায় ২৯, পটিয়ায় ৩২, বাঁশাখালীতে ১৪, চন্দনাইশে ৩৩, সাতকানিয়ায় ১২ ও লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন।এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৭, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ ও সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৭০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।বিআইটিআইডি হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৮ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ৪৭৬ জন ডায়রিয়া রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১২৫ জনের শরীরে মিলেছে কলেরার জীবাণু।  বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এবং কখনও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণু।’তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুসহ সব বয়সী রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে যেখানে-সেখানে জুস, পানি এবং খাবার খাওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত বাড়ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। যে কোনও কিছু খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।’জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ডায়রিয়া চিকিৎসায় প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠান সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।চিঠিতে বলা হয়, ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছু কিছু উপজেলায় বাড়ছে। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি করে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার ফোন নম্বর ০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩। একইসঙ্গে সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রাখতে বলা হয়েছে।জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী  বলে

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, মিলছে কলেরার জীবাণুও

আপডেট সময় ০৩:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

চট্টগ্রামে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪২১ জন ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের অনেকের শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণুও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রোগীর শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণু।ডায়রিয়া রোগীদের খোঁজ নিতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি করে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১২, সীতাকুণ্ডে ১৮, সন্দ্বীপে ২, ফটিকছড়িতে ১১, হাটহাজারীতে ১৩, রাউজানে ৬, রাঙ্গুনিয়ায় ১১, বোয়ালখালীতে ৫০, আনোয়ারায় ২৯, পটিয়ায় ৩২, বাঁশাখালীতে ১৪, চন্দনাইশে ৩৩, সাতকানিয়ায় ১২ ও লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন।এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৭, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ ও সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৭০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।বিআইটিআইডি হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৮ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ৪৭৬ জন ডায়রিয়া রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১২৫ জনের শরীরে মিলেছে কলেরার জীবাণু।  বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এবং কখনও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণু।’তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুসহ সব বয়সী রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে যেখানে-সেখানে জুস, পানি এবং খাবার খাওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত বাড়ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। যে কোনও কিছু খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।’জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ডায়রিয়া চিকিৎসায় প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠান সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।চিঠিতে বলা হয়, ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছু কিছু উপজেলায় বাড়ছে। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি করে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার ফোন নম্বর ০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩। একইসঙ্গে সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রাখতে বলা হয়েছে।জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী  বলে