ঢাকা , বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না স্নেহার — সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল এক সম্ভাবনার প্রদীপ Logo “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের বিজয়-বার্তা—সুনামগঞ্জে জেলা বিএনপির বিশাল গণমিছিল” Logo সুনামগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত Logo ছাতকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দ মিছিল করলো জামায়াতে ইসলামী Logo মধ্যনগরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। Logo শান্তিগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে জমিয়তের ঐতিহাসিক গণমিছিল ও আলোচনাসভা Logo গণঅভ্যুত্থান দিবসে শান্তিগঞ্জে বিএনপির গণজোয়ার:ব্যারিস্টার আনোয়ারই জনআস্থার নাম Logo গণজাগরণে শান্তিগঞ্জ, চেতনায় ৩৬ জুলাই—জামায়াতের বিশাল মিছিল Logo শান্তিগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পের উদ্যােগে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo শান্তিগঞ্জে আসন্ন ঝুলন যাত্রা সফল করতে প্রশাসন ও সব মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি

টাকা ধার দেওয়াই কাল হলো তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী ইকরামের!

নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন মোল্লাকে (২২)। পুলিশ বলছে, ব্যবসা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে ইকরামের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন তার বন্ধু শান্ত। রমজান মাসে লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার সময় টাকা কম দেখে তা নেননি ইকরাম। এ নিয়ে শান্তর সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হয়। এর জেরেই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বালুর মাঠে গলা কেটে এবং হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইকরামকে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের তদন্ত কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ইকরামের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার (৫ মে) তার দুই বন্ধু শান্ত (২৩) ও সিদ্দিককে (২৩) থানায় নিয়ে আসা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। পরে দায়েরকৃত হত্যা মামলায় দুই জনকে আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন শান্ত। আর আদালতের আদেশে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সিদ্দিক।নিহত ইকরামের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ মে) খিলক্ষেতের বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যান শান্ত। এরপর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ইকরামের। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৫ মে) খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা। তখন এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। শনিবার (৬ মে) দুপুরে খিলক্ষেতের বালুর মাঠের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় ইকরামের গলাকাটা মরদেহ।পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক কারণে শান্তকে দুই লাখ টাকা দেন ইকরাম। পরবর্তীতে লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন শান্ত। এছাড়া শান্তর বন্ধু সিদ্দিক ছিল এলাকায় বেপরোয়া এবং মাদকসেবী। বিষয়টি সিদ্দিকের পরিবারকে জানিয়ে দেন ইকরাম। মা বিষয়টি জানতে পেরে সিদ্দিককে বাসা থেকে বের করে দেন। এসব মিলিয়ে শান্ত ও সিদ্দিক মিলে ইকরামকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।নিহত ইকরামের বাবা কবির হোসেন জানান, শান্ত ও সিদ্দিক মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।লাশ উদ্ধারের পর থেকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আহাজারি কমছেই না ইকরামের মা আফিয়া বেগমের। তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের পর তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা এ হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার পেছনে আর কারা জড়িত, আর কোনও বিষয় রয়েছে কিনা, এসব বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না স্নেহার — সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল এক সম্ভাবনার প্রদীপ

টাকা ধার দেওয়াই কাল হলো তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী ইকরামের!

আপডেট সময় ০৫:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন মোল্লাকে (২২)। পুলিশ বলছে, ব্যবসা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে ইকরামের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন তার বন্ধু শান্ত। রমজান মাসে লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার সময় টাকা কম দেখে তা নেননি ইকরাম। এ নিয়ে শান্তর সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হয়। এর জেরেই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বালুর মাঠে গলা কেটে এবং হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইকরামকে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের তদন্ত কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ইকরামের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার (৫ মে) তার দুই বন্ধু শান্ত (২৩) ও সিদ্দিককে (২৩) থানায় নিয়ে আসা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। পরে দায়েরকৃত হত্যা মামলায় দুই জনকে আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন শান্ত। আর আদালতের আদেশে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সিদ্দিক।নিহত ইকরামের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ মে) খিলক্ষেতের বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যান শান্ত। এরপর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ইকরামের। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৫ মে) খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা। তখন এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। শনিবার (৬ মে) দুপুরে খিলক্ষেতের বালুর মাঠের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় ইকরামের গলাকাটা মরদেহ।পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক কারণে শান্তকে দুই লাখ টাকা দেন ইকরাম। পরবর্তীতে লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন শান্ত। এছাড়া শান্তর বন্ধু সিদ্দিক ছিল এলাকায় বেপরোয়া এবং মাদকসেবী। বিষয়টি সিদ্দিকের পরিবারকে জানিয়ে দেন ইকরাম। মা বিষয়টি জানতে পেরে সিদ্দিককে বাসা থেকে বের করে দেন। এসব মিলিয়ে শান্ত ও সিদ্দিক মিলে ইকরামকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।নিহত ইকরামের বাবা কবির হোসেন জানান, শান্ত ও সিদ্দিক মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।লাশ উদ্ধারের পর থেকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আহাজারি কমছেই না ইকরামের মা আফিয়া বেগমের। তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের পর তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা এ হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার পেছনে আর কারা জড়িত, আর কোনও বিষয় রয়েছে কিনা, এসব বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।