ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত

ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র ৮৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এছাড়া মোংলা থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এ কারণে তিন সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় এখন ১৬০ কিলোমিটার। এ অবস্থায় টেকনাফের নাফ নদ তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহপরীর দ্বীপে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস। এর মধ্যে কয়েক হাজার মানুষজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়া শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. তৈয়ব বলেন, ‘নদীর পাড়ে বসবাস। এর আগে তিনটি ঘূর্ণিঝড় দেখেছি। এবারও আতঙ্কের মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছি। বিকাল থেকে জোয়ারের সঙ্গে নদীর ঢেউ বেড়েছে। প্রতিবেশী অনেকে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। আমিও মালামাল ট্রাকে করে সরিয়ে নিচ্ছি। ঘরের লোকজন সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি। জানি না, কবে ফিরতে পারবো।’আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করলে এটির কেন্দ্র হতে পারে টেকনাফ। একইসঙ্গে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, সোনাদিয়া, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ এলাকাজুড়ে এর প্রভাব থাকবে। কিছু অংশ থাকবে মিয়ানমারের রাখাইন অংশে। এসব এলাকায় আঘাত হানতে পারে।’তিনি বলেন, ‘ভাটার সময় পানির উচ্চতা দুই ফুট হলেও জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাস ৫-৭ ফুট হতে পারে। ১৪ মে ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।’সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফের জেলেরা মাছ ধরা ট্রলার-নৌকাগুলো কূলে নিরাপদে রেখেছেন। এরই মধ্যে অনেক জেলে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার এলাকার নদীর পাড়ের শতাধিক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। অনেকে গেছে, আবার অনেকে যায়নি। যারা যায়নি তাদের শনিবার সকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’ শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা নূর আমিন বলেন, ‘অনেক ভয়ে আছি। ইতোমধ্যে  নদীর পাড়ের অনেক লোকজন টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরাও সেখানে চলে যাচ্ছি।’ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘পুরো উপজেলায় হোটেল-মোটেলসহ ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। এসব এলাকার সব বাসিন্দাকে শনিবারের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী প্রস্তুত আছে।’এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নাফ নদ ও উপকূলীয় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগে দ্বীপবাসীর জন্য বিজিবি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের দিকে বিশেষ নজর রাখছি আমরা। সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন 

ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা

আপডেট সময় ০৮:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র ৮৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এছাড়া মোংলা থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এ কারণে তিন সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় এখন ১৬০ কিলোমিটার। এ অবস্থায় টেকনাফের নাফ নদ তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহপরীর দ্বীপে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস। এর মধ্যে কয়েক হাজার মানুষজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়া শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. তৈয়ব বলেন, ‘নদীর পাড়ে বসবাস। এর আগে তিনটি ঘূর্ণিঝড় দেখেছি। এবারও আতঙ্কের মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছি। বিকাল থেকে জোয়ারের সঙ্গে নদীর ঢেউ বেড়েছে। প্রতিবেশী অনেকে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। আমিও মালামাল ট্রাকে করে সরিয়ে নিচ্ছি। ঘরের লোকজন সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি। জানি না, কবে ফিরতে পারবো।’আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করলে এটির কেন্দ্র হতে পারে টেকনাফ। একইসঙ্গে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, সোনাদিয়া, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ এলাকাজুড়ে এর প্রভাব থাকবে। কিছু অংশ থাকবে মিয়ানমারের রাখাইন অংশে। এসব এলাকায় আঘাত হানতে পারে।’তিনি বলেন, ‘ভাটার সময় পানির উচ্চতা দুই ফুট হলেও জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাস ৫-৭ ফুট হতে পারে। ১৪ মে ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।’সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফের জেলেরা মাছ ধরা ট্রলার-নৌকাগুলো কূলে নিরাপদে রেখেছেন। এরই মধ্যে অনেক জেলে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার এলাকার নদীর পাড়ের শতাধিক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। অনেকে গেছে, আবার অনেকে যায়নি। যারা যায়নি তাদের শনিবার সকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’ শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা নূর আমিন বলেন, ‘অনেক ভয়ে আছি। ইতোমধ্যে  নদীর পাড়ের অনেক লোকজন টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরাও সেখানে চলে যাচ্ছি।’ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘পুরো উপজেলায় হোটেল-মোটেলসহ ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। এসব এলাকার সব বাসিন্দাকে শনিবারের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী প্রস্তুত আছে।’এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নাফ নদ ও উপকূলীয় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগে দ্বীপবাসীর জন্য বিজিবি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের দিকে বিশেষ নজর রাখছি আমরা। সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’