ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত

১১ বছর পর গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আরএসএফ’র মামলা,সীমাহীন ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা

 

শাল্লা প্রতিনিধি::-দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সৌর বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)। কারো কারো বিরুদ্ধে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শাল্লা উপজেলার প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ। তেমনি এক ভুক্তভোগী উপজেলার সুলতান গ্রামের মোহাম্মদ আলী মিয়া, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের স্লিপ ও কাগজপত্র অনুযায়ী মোহাম্মদ আলী মিয়ার সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও ৭ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলীর নামে। মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি একটা বিদ্যুৎ এনেছিলাম সব টাকা পরিশোধও করেছি তারপরও আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এতে আমি হতাশায় ভোগছি। তিনি বলেন আমি এখন দিশেহারা এই মামলা আমাকে অনেক ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।

সুলতান গ্রামের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গত ২৭-০৩-২৩ তারিখে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের ইউনিট ম্যানেজার আকবর হোসেন মামলা নং-২৬\২৩। মামলার দরখাস্তকারী আকবর হোসেনের উল্লেখিত মুঠোফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের হেড অফিসে জাতীয় সেলসের দায়িত্বে থাকা মো: এনামুল হক বলেন এই মুর্হুতে কিছু বলা সম্ভব নয়। এবিষয়ে আরএসএফ’ কোম্পানির পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর বলেন যথাযথ ডকুমেন্টস নিয়ে আসামিরা সত্যমিথ্যা প্রমাণ করে আইনগতভাবে এগোতে হবে।

রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের কর্মচারী তৎকালীন টেকনিশিয়ান,আনসার সদস্য উপজেলার সুলতান পুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনও এই মামলার ২৫নং আসামি। আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন আরএসএফ’ সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমটির অবস্থা শুরু থেকেই ভাল ছিল না। অনেকে বিল/কিস্তি দেওয়ায় পরেও মাঠকর্মীরা এগুলো রেজিস্ট্রারে না উটিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে ফেলত তিনি বলেন আমি নিজেই এর প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সময়মতো কিস্তি আদায় করতেন না তারা রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের গাফিলতির কারনেই অনেকে কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানান তিনি। জানা যায় ২০১১ সালে শাল্লা উপজেলার একটি অফিস স্থাপন করে সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন। তারপর তাদের ম্যানেজমেন্টের অবস্থা নাজুক হওয়ায় কর্মীরা আস্তে আস্তে উধাও হতে থাকে। কিছুদিন যাওয়াী পরেই তাদের অফিস সহ সবকিছু উধাও হয়ে যায় তখন তাদের অফিস না থাকায় বিপাকে পড়ে গ্রাহকেরা তাই ঠিকমত কিস্তিও দিতে পারেননি তারা। কিন্তু কোম্পানির গাফিলতি থাকার পরেও প্রায় ১১ বছর পার হওয়ার পরেও সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার লোক। এতে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও অনেক গ্রাহকের নামে করা হয়েছে মামলা এতে কোন উপায়ান্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী সাধারণ গ্রাহকেরা।

এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস বলেন সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও অনেকের নামে মামলা করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং তাদের গাফিলতির কারনে অনেকেই বিল পরিশোধ করতে পারেনি। একটা কোম্পানির অফিস সহ যদি সবকিছু উধাও হয়ে যায় তখন সব দোষ বর্তায় ওই কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের উপরই। তিনি বলেন আমার উপজেলার এত এত লোক অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছে এতে যা যা করা দরকার সে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন 

১১ বছর পর গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আরএসএফ’র মামলা,সীমাহীন ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা

আপডেট সময় ০৭:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

 

শাল্লা প্রতিনিধি::-দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সৌর বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)। কারো কারো বিরুদ্ধে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শাল্লা উপজেলার প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ। তেমনি এক ভুক্তভোগী উপজেলার সুলতান গ্রামের মোহাম্মদ আলী মিয়া, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের স্লিপ ও কাগজপত্র অনুযায়ী মোহাম্মদ আলী মিয়ার সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও ৭ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলীর নামে। মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি একটা বিদ্যুৎ এনেছিলাম সব টাকা পরিশোধও করেছি তারপরও আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এতে আমি হতাশায় ভোগছি। তিনি বলেন আমি এখন দিশেহারা এই মামলা আমাকে অনেক ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।

সুলতান গ্রামের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গত ২৭-০৩-২৩ তারিখে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের ইউনিট ম্যানেজার আকবর হোসেন মামলা নং-২৬\২৩। মামলার দরখাস্তকারী আকবর হোসেনের উল্লেখিত মুঠোফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের হেড অফিসে জাতীয় সেলসের দায়িত্বে থাকা মো: এনামুল হক বলেন এই মুর্হুতে কিছু বলা সম্ভব নয়। এবিষয়ে আরএসএফ’ কোম্পানির পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর বলেন যথাযথ ডকুমেন্টস নিয়ে আসামিরা সত্যমিথ্যা প্রমাণ করে আইনগতভাবে এগোতে হবে।

রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের কর্মচারী তৎকালীন টেকনিশিয়ান,আনসার সদস্য উপজেলার সুলতান পুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনও এই মামলার ২৫নং আসামি। আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন আরএসএফ’ সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমটির অবস্থা শুরু থেকেই ভাল ছিল না। অনেকে বিল/কিস্তি দেওয়ায় পরেও মাঠকর্মীরা এগুলো রেজিস্ট্রারে না উটিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে ফেলত তিনি বলেন আমি নিজেই এর প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সময়মতো কিস্তি আদায় করতেন না তারা রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের গাফিলতির কারনেই অনেকে কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানান তিনি। জানা যায় ২০১১ সালে শাল্লা উপজেলার একটি অফিস স্থাপন করে সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন। তারপর তাদের ম্যানেজমেন্টের অবস্থা নাজুক হওয়ায় কর্মীরা আস্তে আস্তে উধাও হতে থাকে। কিছুদিন যাওয়াী পরেই তাদের অফিস সহ সবকিছু উধাও হয়ে যায় তখন তাদের অফিস না থাকায় বিপাকে পড়ে গ্রাহকেরা তাই ঠিকমত কিস্তিও দিতে পারেননি তারা। কিন্তু কোম্পানির গাফিলতি থাকার পরেও প্রায় ১১ বছর পার হওয়ার পরেও সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার লোক। এতে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও অনেক গ্রাহকের নামে করা হয়েছে মামলা এতে কোন উপায়ান্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী সাধারণ গ্রাহকেরা।

এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস বলেন সব কিস্তি পরিশোধ করার পরেও অনেকের নামে মামলা করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং তাদের গাফিলতির কারনে অনেকেই বিল পরিশোধ করতে পারেনি। একটা কোম্পানির অফিস সহ যদি সবকিছু উধাও হয়ে যায় তখন সব দোষ বর্তায় ওই কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের উপরই। তিনি বলেন আমার উপজেলার এত এত লোক অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছে এতে যা যা করা দরকার সে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।