ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত

আঘাতের পর ঘূর্ণিঝড় মোখা দুর্বল, বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অধিদফতর।রবিবার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‌‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে।’এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়েছেমূলত সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয় উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গতিপথ বদলে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এখন ভয়ের কিছু নেই, এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে। আগামী তিন ঘণ্টা উপকূলজুড়ে আঘাতের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রভাব কমে এটি পুরোপুরি দুর্বল হয়ে যাবে। এখন শেষ অংশের প্রভাব চলছে। আমাদের উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই।’প্রচণ্ড গতিতে প্রথমে মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়টি উল্লেখ করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আঘাতে সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে ও গাছপালা উপড়ে গেছে। এক নারীর মৃত্যুর কথা শুনেছি। কয়েকজন আহতের খবর পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। তবে, জলোচ্ছ্বাস হয়নি।’আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেইসেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন উপকূলের ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ ও বাঁশ উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়। গাছপালা ভেঙে পড়েছে, দোকানপাট উড়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।’এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সাবরাং ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি।’এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘বেলা ২টা থেকে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়েছিল। বিকাল ৩টার দিকে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন নিরাপদে আছেন। হতাহতের কোনও খবর পাইনি।’

ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে সড়কে পড়েছে

জেলা আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শেষাংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে যাচ্ছে। ঝড়ের ব্যাস বড় হওয়ায় পুরোপুরি অতিক্রম করতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় লাগবে। বাংলাদেশের উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমাদের যে বড় বিপদের শঙ্কা ছিল, এখন তা আর নেই।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন 

আঘাতের পর ঘূর্ণিঝড় মোখা দুর্বল, বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে

আপডেট সময় ০৬:২০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অধিদফতর।রবিবার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‌‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে।’এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়েছেমূলত সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয় উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গতিপথ বদলে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এখন ভয়ের কিছু নেই, এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে। আগামী তিন ঘণ্টা উপকূলজুড়ে আঘাতের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রভাব কমে এটি পুরোপুরি দুর্বল হয়ে যাবে। এখন শেষ অংশের প্রভাব চলছে। আমাদের উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই।’প্রচণ্ড গতিতে প্রথমে মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়টি উল্লেখ করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আঘাতে সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে ও গাছপালা উপড়ে গেছে। এক নারীর মৃত্যুর কথা শুনেছি। কয়েকজন আহতের খবর পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। তবে, জলোচ্ছ্বাস হয়নি।’আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেইসেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন উপকূলের ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ ও বাঁশ উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়। গাছপালা ভেঙে পড়েছে, দোকানপাট উড়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।’এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সাবরাং ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি।’এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘বেলা ২টা থেকে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়েছিল। বিকাল ৩টার দিকে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন নিরাপদে আছেন। হতাহতের কোনও খবর পাইনি।’

ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে সড়কে পড়েছে

জেলা আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের শেষাংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে যাচ্ছে। ঝড়ের ব্যাস বড় হওয়ায় পুরোপুরি অতিক্রম করতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় লাগবে। বাংলাদেশের উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমাদের যে বড় বিপদের শঙ্কা ছিল, এখন তা আর নেই।’