শাল্লা প্রতিনিধি::-সৌর বিদ্যুৎ/হোম , সিস্টেম গ্রামীণ শক্তির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মনুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার। পারভীন আক্তারের বাড়ি উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউপির মনুয়া গ্রামে। ২০১৩ সালে ৪১,১০০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে ও ১১৯২ টাকা মাসিক কিস্তিতে গ্রামীণ শক্তির শাল্লা শাখা অফিস থেকে একটি সৌর বিদ্যুৎ নেন তিনি। ভুক্তভোগী পারভীন আক্তারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,রশীদ ও পাশ বই অনুযায়ী দেখা যায় সর্বমোট কিস্তি পরিশোধ করেছেন তিনি। সর্বমোট টাকা পরিশোধ করার পরেও গ্রামীণ শক্তি কতৃপক্ষ পারভীন আক্তারের নামে পাঠিয়েছেন আইনি নোটিশ। এতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে পরেছে এই ভুক্তভোগী। আইনি নোটিশের মাধ্যমে গ্রামীণ শক্তি পারভীন আক্তারকে জানিয়েছেন তার কাছে পাওনা আরো ২৩,১০৪ টাকা বকেয়া রয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করলে মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনি নোটিশে।
এসবের উপযুক্ত সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পারভীন আক্তার। ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার বলেন আমি গ্রামীণ শক্তির সব পাওনা টাকা পরিশোধ করেছি, কতৃপক্ষের স্বাক্ষর করা পাশ বইও আমার কাছে রয়েছে সেই পাশ বইয়ে তাদের স্বাক্ষরে লেখাও রয়েছে সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে তারপরও গ্রামীণ শক্তি বেআইনিভাবে আমার নামে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এর সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ৬৫০০ টাকা ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ টি নিয়েছেন পারভীন আক্তার এবং যথা সময়ে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধও করেন তিনি যার প্রমাণ তাদের স্বাক্ষর করা পাশ বই। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন এভাবে তারা (বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ) প্রায় ১০ হাজার উকিল নোটিশ প্রদান করে সাধারণ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। স্থানীয় মেম্বার,চেয়ারম্যানদেরকে অবগতি করানোর পরেও কোনো ধরনের প্রতিকার না পেয়ে আপনার নিকট (জেলা প্রশাসক) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। এবিষয়ে নোটিশ দাতা গ্রামীণ শক্তির রিকভারি অফিসার একপর্যায়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন যাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রয়েছে যারা সর্বমোট টাকা পরিশোধ করেছেন তাদেরকে টাকা দিতে হবে না। ঢালাওভাবে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এসব তালিকা আমাদের ঢাকা হেড অফিস দিয়েছে যারা সর্বমোট টাকা পরিশোধের কাগজ দেখাতে পারবে হেড অফিসে না জানিয়ে এরকম সমস্যা তিনি নিজে ক্লিয়ার করে দেবেন বলে জানান তিনি। তবে গ্রামীণ শক্তির আইনজীবী এডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর ইতোপূর্বেই এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন যাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রয়েছে তারা আইনি ভাবে সত্যমিথ্যা প্রমাণ করবে।