গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে সবার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আমি মনে করি সবার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণ ভালো ছিল। ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছেন। আপনারাও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের প্রশাসনের যারা ছিল পুলিশ প্রশাসন, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার যারা ছিলেন সবাই আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি মনে করি যে সবার সমান দায়িত্ব পালন করার জন্য এবং ন্যায়সঙ্গত দায়িত্ব পালন করার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।
রবিবার (২৮ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু গাজীপুরের ক্ষেত্রে না, আমরা সবসময় বলেছি যে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে, সুন্দর হবে। আমাদের কাজ হলো যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে তাদের সবাইকে সমান সুযোগ যেটা আমাদের পক্ষ থেকে দিতে হবে এবং সবার জন্য সমান মাঠ রাখবো। যাতে নির্বাচনের প্রচারণা করা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বা ভোটের যে পরিবেশ, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।
অনেকেই বলছেন ইসির সক্ষমতা বা সরকারের সদিচ্ছা নয়, মার্কিন ভিসানীতির কারণে গাজীপুর সিটির ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসানীতিতে কী হয়েছে না হয়েছে সে বিষয়ে আমরা এখনও কোনও গবেষণা করিনি। আপনারা বলছেন ভোটের দিন এটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু তার আগেই তো ভোট শুরু হয়ে গেছে। তাহলে তার প্রভাব পড়লো কীভাবে? এমন না যে এটি আগে হয়েছে, আমরা দেখেছি। আমরা তো দেখিইনি। মাঠে ভোট চলছে। মানুষ কি ওই ভিসানীতি পড়েছে, নাকি কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, ভিসানীতি তো আমরা জানতামই না। আপনাদের টেলিভিশনে দেখেছি। ভয় পাওয়ার সুযোগটা কই দিলো?
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু গাজীপুর কেন, আমাদের সময়ে যত নির্বাচন হবে সবগুলো একই মানের করার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনও আলোচনা হয়নি। তাদের কোনও নির্দেশনা পাইনি। তাদের কোনও নির্দেশনা আশাও করিনি। আমরা আমাদের মতো স্বাধীন সংস্থা হিসেবে সংবিধানে যা আছে, আইনে যা আছে সেই অনুযায়ী কাজ করছি।
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক বক্তব্যের বিষয়ে উত্তর দেবো না। যেকোনও পরিস্থিতিতে যেকোনও পরিবেশে আমাদের দায়িত্ব হলো আইন মেনে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যা আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে করে আসছি এবং যতদিন আমরা আছি সেভাবে করবো। প্রথম দিন থেকেই বলছি আমাদের কেউ চাপ দেয় না। আমরা কারও কাছ থেকে চাপ নেইও না। আমরা প্রথম থেকেই মুক্ত আছি। ইনশাআল্লাহ শেষ পর্যন্ত মুক্ত থাকবো।