নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীর গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য নিরূপণ ও স্বীকৃতি; সরকারিভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ এবং কর্মজীবী নারী হোস্টেল নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবিও জানায় সংগঠনটি। সোমবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, স্বীকৃতিবিহীন, মর্যাদাবিহীন, মজুরিবিহীন কাজের নাম গৃহস্থালির কাজ। এইসব কাজের ৮০ ভাগের বেশি করেন নারীরা। কিন্তু এ কাজের কোনও স্বীকৃতি নেই, মর্যাদা নেই। এমনকি এই কাজকে সবসময় তাচ্ছিল্য করা হয়। যারা এই কাজ করেন তাদের কোনও পারিশ্রমিক নেই।
বক্তরা বলেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম মনে করে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা এবং পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে সমাজে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর শ্রমের অবদানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।
তারা বলেন, বাজেট শুধু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নয়, বাজেটের মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রতিফলিত হয়। আমাদের দেশে প্রতি বছর যে জেন্ডার বাজেট হয় তা জাতীয় বাজেটের মাত্র এক শতাংশের মতো, যা মূলত বিভিন্ন ভাতা দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ। ভাতাগুলোর পরিমাণও সামান্য। যে কারণে নারীরা কর্মক্ষেত্রে আসতে পারেন না বা কর্মক্ষেত্র থেকে ঝরে পড়েন ওইসব বাধা দূর করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকে না।
তারা আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি উপজেলায় ডে কেয়ার সেন্টার ও কর্মজীবি নারী হোস্টেল নির্মাণের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখলে অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারবেন। কিন্তু সে বিষয়ে বাজেটে বরাদ্দ থাকে না।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুখশানা আফরোজ আশার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন– সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ঢাকা নগর শাখার সভাপতি সেলিনা ইয়াসমিন কনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফা বেগম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ।