যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ক্যামেরা পারসন শাহীন আলমকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন আসামির চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আপিলের শর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিন দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— আব্দুর রহিম, জব্বার ও জাকির হোসেন। তারা সম্পর্কে আপন তিন ভাই।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— শাওন হাওলাদার, অভি ও হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহজাহান মজুমদার (ফেরদৌস) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী শাকিল হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেনে অবৈধ পলিথিন ব্যাগ তৈরির কারখানা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে হামলার শিকার হন যমুনার সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ক্যামেরা পারসন শাহীন আলম। রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাদের ওপর চড়াও হন এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। হামলা থেকে বাঁচতে তারা পাশের একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা শাকিল হাসানের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শাকিল।
এ ঘটনায় শাকিল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০১৭ সালের ৬ জুন ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- শাওন হাওলাদার,আব্দুর রহিম,অভি,হাবিবুর রহমান, জব্বার, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও ইলিয়াস হোসেন।
এরপর ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও ইলিয়াস হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালীন ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।