ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা ‘নতুন ফিলিস্তিনিতে’ পরিণত হতে পারে

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির অবস্থিত বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং-এ। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এদের অনেকেই। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বিদেশি ত্রাণ সহায়তাও দিনে দিনে কমে আসছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি কক্সবাজারের ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ার দ্য শুটার। বাংলাদেশে থাকা রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা ‘নতুন ফিলিস্তিনি’ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করা দারিদ্র ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে জনাকীর্ণ শিবিরে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা টেকসই নয়।’

ক্যাম্পের পরিস্থিতিকে শোচনীয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত।

অলিভিয়ার দ্য শুটার

মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে এসেছিলেন। সেসময় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।

এত সংখ্যক রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো। যত সময় গড়াচ্ছে তা কমছে। এ বিষয়ে অলিভিয়ার বলেন, ‘অন্যদিকের সংকটের কারণে ক্রমশ হিমশিম খাচ্ছেন আন্তর্জাতিক দাতারা। ফলে এখানে কমছে ত্রাণ সহায়তা।’

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ভাতা কমিয়ে প্রতি মাসে ৮ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের অনেকে

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো এই মানুষগুলো সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কাজ করার ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ। তাদের দিন কাটে অলসভাবে। ফলে লিঙ্গভিত্তিক সহিসংতা বাড়ছে। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সশস্ত্র গ্যাংগুলো মিয়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রায়শই এসব গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে মধ্যে গোলাগুলি ঘটছে।’

এসব ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক এবং সেখানকার পরিবারগুলোর হতাশ হয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয় মনে করেন তিনি।

মিয়ামারের লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মিয়ানমার এখন জান্ত সরকারের অধীনে থাকায় প্রত্যাবাসন প্রতিক্রিয়া এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকেই সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে, মনে হয় না তা পূরণ হচ্ছে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা ‘নতুন ফিলিস্তিনিতে’ পরিণত হতে পারে

আপডেট সময় ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির অবস্থিত বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং-এ। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এদের অনেকেই। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বিদেশি ত্রাণ সহায়তাও দিনে দিনে কমে আসছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি কক্সবাজারের ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ার দ্য শুটার। বাংলাদেশে থাকা রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা ‘নতুন ফিলিস্তিনি’ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করা দারিদ্র ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে জনাকীর্ণ শিবিরে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা টেকসই নয়।’

ক্যাম্পের পরিস্থিতিকে শোচনীয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত।

অলিভিয়ার দ্য শুটার

মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে এসেছিলেন। সেসময় বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।

এত সংখ্যক রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো। যত সময় গড়াচ্ছে তা কমছে। এ বিষয়ে অলিভিয়ার বলেন, ‘অন্যদিকের সংকটের কারণে ক্রমশ হিমশিম খাচ্ছেন আন্তর্জাতিক দাতারা। ফলে এখানে কমছে ত্রাণ সহায়তা।’

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ভাতা কমিয়ে প্রতি মাসে ৮ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের অনেকে

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো এই মানুষগুলো সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কাজ করার ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ। তাদের দিন কাটে অলসভাবে। ফলে লিঙ্গভিত্তিক সহিসংতা বাড়ছে। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সশস্ত্র গ্যাংগুলো মিয়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রায়শই এসব গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে মধ্যে গোলাগুলি ঘটছে।’

এসব ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক এবং সেখানকার পরিবারগুলোর হতাশ হয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয় মনে করেন তিনি।

মিয়ামারের লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মিয়ানমার এখন জান্ত সরকারের অধীনে থাকায় প্রত্যাবাসন প্রতিক্রিয়া এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকেই সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে, মনে হয় না তা পূরণ হচ্ছে না।