শাল্লা প্রতিনিধিঃঃ-“তামাক নয়,খাদ্য ফলান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে সুনামগঞ্জের শাল্লায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩১ মে বুধবার ১২টায় বর্ণাঢ্য র্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা গণমিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন সমাজে অসচেতন হয়ে অনেকেই বিভিন্নভাবে তামাক খেয়ে থাকেন। বাড়িতে মহিলারাও পানের সাথে একধরনের তামাক খেয়ে থাকে। উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যেকটা সভা-সমাবেশ জন-সচেতনতামূলক উল্লেখ করে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য বক্তারা বলেন তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ৯৯% ই তামাক ব্যবহার করে না। মরণব্যাধি এই তামাক খেয়ে বাঁচতে সমাজে প্রচারের জন্য ছাত্রছাত্রীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তামাক মুক্তে আমরা আগের চেয়ে এখন অনেকাংশে এগিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে,রাস্তাঘাটে,গাড়িতে,লঞ্চে আগে যেভাবে তামাক বা ধুমপান ব্যবহার করা হতো এখন তা আর দেখা যাচ্ছে না। যারা তামাক জাতীয় দ্রব্য মদ-গাঁজ,হিরোইন,ইয়াবা,বিয়ার খায় তারা সবসময় অসুস্থ থাকে আর যারা নিজেই অসুস্থ থাকে সে সমাজকে ভাল কিছু দিতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আমাদের সবাইকে মরণব্যাধি তামাক থেকে দূরে থাকতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন তামাক একটা জাতিকে ধ্বংসের দিকে ফেলে দেয়,বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে তামাক চাষ বেশি হয়ে থাকে। তামাক চাষে আমাদের বাংলাদেশও ১৩তম স্থানে রয়েছে। এক সময় গ্রামে অনেকের বাড়িতে তামাক গাছ লাগাতো তবে মানুষের সচেতনতায় সেই তামাক গাছটি এখন আর দেখা যায় না। তামাক মুক্ত করনে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে আসছে। তামাকে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের পেছনে সরকারের মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে। যারা তামাক ব্যবহার করে তারা আর্থিক,সামাজিক,শারিরীক ও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তামাকের গায়ে মরণব্যাধি দ্রব্য লেখা থাকার পরেও আমরা তামাক খেয়ে থাকি,এটা মোটেও ঠিক নয়। তামাক উৎপাদনে মাটির ক্ষতি হয়,স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়,দেশের পরিবেশ অস্বস্তিতে পড়ে। তামাক মুক্তে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি তামাক মুক্ত করনে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাডঃ দিপু রঞ্জন দাস,মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান অমিতা রানী দাশ,
২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস,
মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজীব বিশ্বাস,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার মোঃ ফজলুল করিম,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস রায়,সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কালীপদ দাস,ইউপি সদস্য জহির মিয়া,ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব,বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ,বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্রছাত্রী বৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।