ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা 

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।