ঢাকা , সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo পশ্চিম বীরগাঁও বিএনপি কমিটিতে তোফায়েল ও জসীম, ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ Logo বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শান্তিগঞ্জে তৃণমূলের জাগরণ Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন মোঃ আক্কাস মিয়া Logo সেনাসদরে ‘ক্যাপস্টোন ২০২৫/০২’ কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের পরিদর্শন Logo দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র উদ্যোগে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালিত Logo পাথারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “জুলাই পুনর্জাগরণ” অনুষ্ঠান মালা সম্পন্ন Logo সাতগাঁও জীবদারা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি চলছে Logo জগন্নাথপুর পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন Logo দোয়ারাবাজারে আওয়ামীলীগ নেতাকর্তৃক হামলা ভাংচুর।। থানার অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি,জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

পশ্চিম বীরগাঁও বিএনপি কমিটিতে তোফায়েল ও জসীম, ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।