সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না বলে মন্তব্য করায় চট্টগ্রামে অবস্থিত বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়।
আদালতের বিচারক মো. জহিরুল কবির মামলাটি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) মামলাটি করেন নগরীর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসাইন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি দাবি করেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। তার দোষ তিনি শেখ হাসিনাকে সংসদে দাঁড়িয়ে আঘাত করেছেন।’ এ সংক্রান্ত প্রায় ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রয়েছে বলেও এজাহারে বলা হয়।
এ বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৮ মার্চ দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বাদী সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পি পি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনও কথা বলিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার এখানকার কিছু লোকের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তারাই মূলত এসব বানোয়াট-ভিত্তিহীন কথা প্রচার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছি। আমার চাকরি আছে মাত্র চার মাস।’
জেলা পি পি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’