ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবির উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে কাওয়াল সন্ধ্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উর্দু, ফারসি ভাষায় রচিত কাওয়ালী গানের পরিবেশনার মাধ্যমে ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) কাওয়ালী সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন কাওয়াল ওস্তাদ মনির হোসেন কাওয়ালের দল এবং ওস্তাদ হানিফ কাওয়ালের দল।

উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমরা বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা মনে করি, মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা এবং সমাজে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ যারা শুধু কাওয়ালী গানকে হালাল মনে করে এবং বাকী সবধরনের গানকে হারাম মনে করে, তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। আমরা পালাগান, জারি গান, কাওয়ালীসহ সবধরনের সাংস্কৃতিক উপাদান চর্চা করার পক্ষে এবং সংস্কৃতির মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই৷’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে এবং ধর্মীয়ভাবে আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে কিংবা মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব করতে চেষ্টা করবে আমরা তাদের সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করবো। আজকের ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’র আয়োজনও আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরই অংশ।’

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সভাপতি সজিব তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবির উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে কাওয়াল সন্ধ্যা

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উর্দু, ফারসি ভাষায় রচিত কাওয়ালী গানের পরিবেশনার মাধ্যমে ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) কাওয়ালী সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন কাওয়াল ওস্তাদ মনির হোসেন কাওয়ালের দল এবং ওস্তাদ হানিফ কাওয়ালের দল।

উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমরা বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা মনে করি, মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা এবং সমাজে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ যারা শুধু কাওয়ালী গানকে হালাল মনে করে এবং বাকী সবধরনের গানকে হারাম মনে করে, তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। আমরা পালাগান, জারি গান, কাওয়ালীসহ সবধরনের সাংস্কৃতিক উপাদান চর্চা করার পক্ষে এবং সংস্কৃতির মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই৷’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে এবং ধর্মীয়ভাবে আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে কিংবা মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব করতে চেষ্টা করবে আমরা তাদের সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করবো। আজকের ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’র আয়োজনও আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরই অংশ।’

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সভাপতি সজিব তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ।