গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কষ্টে আছে। কিন্তু এই কষ্ট লাঘবের চিন্তা তার নেই। তিনি ডলার সংকটের কথা বলেন, কিন্তু বড় বড় প্রকল্পের ব্যয় বন্ধ হচ্ছে না। বড় প্রকল্পে ব্যয় করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ দুই লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে দুই লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকাই তারা ঋণ নেবেন।’
সোমবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে রংপুর রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় জোনায়েদ সাকি তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বলছে আপনারা সব কার্যক্রম চালান সমস্যা নেই, আবার এটাও বলছে চাপ থাকার কারণে তারা কিছু করতে পারছে না। তারা আমাদের বাধা কিন্তু ঠিকই দিচ্ছে। আমরা সমাবেশের জন্য রংপুর টাউন হল চাইলাম, কিন্তু ফাঁকা থাকার পরেও সেটি তারা আমাদের দিলো না।’
গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা রোড মার্চে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। গতকাল টাঙ্গাইলেও হয়েছি, সিরাজগঞ্জেও হলাম। তারা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না, তারা বাধা তৈরি করছে। ছোট্ট একটা সমাবেশ দেখলেই মনে করে, এই বুঝি বোমা পড়লো, ছোট্ট একটা মিছিল দেখে মনে করে, লাখ লাখ মানুষ বুঝি বেরিয়ে গেলো। এতটাই তাদের আতঙ্ক। তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন– নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সিরাজগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক নুর হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গণতন্ত্র মঞ্চের এই রোড মার্চ ৪ জুন ঢাকা থেকে শুরু হয়ে ৭ জুন রংপুরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।