সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি আজীবন বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাকে ধারণ ও লালন করেছেন।
রবিবার (১১ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘর এ আয়োজন করে।
কে এম খালিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ততদিন পরিপূর্ণ হবে না যতদিন না সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। জাতির পিতার পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনিই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকায় আনেন।’
বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দিন যতই গড়াচ্ছে, ভাষা আন্দোলনে ও বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষায় জাতির পিতার অবদানের কথা নিত্যনতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসতে পারে, বঙ্গবন্ধু তা আগেভাগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির আগে ১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তৎকালীন ভারতের ইত্তেহাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।’
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন– সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।