টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও ফেভারিটের ট্যাগ ছিল না উরুগুয়ে, ইতালির। শেষ পর্যন্ত ছোটদের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললো এই দুটি দল। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে উরুগুয়ে।
১৯৯৭, ২০১৩ আসরেও ফাইনাল খেলেছিল উরুগুয়ে। কিন্তু দুবারই ব্যর্থ হয়েছে তারা। অথচ ২০ মে যখন টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ায় তখনও কেউ ভাবতে পারেনি ছোটদের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফেভারিটের বাইরে কেউ হবে। ফলে ফেভারিটের তালিকায় থাকা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড ক্লাবগুলো থেকে খেলোয়াড় ছাড়িয়ে নিতে যতটা বাধার মুখে পড়েছে। ততটা বাধার মুখে পড়েনি উরুগুয়ে-ইতালি। ৮৬ মিনিটে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেছেন লুসিয়ানো রদ্রিগেজ।
লা প্লাতায় ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে এদিন ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। সবাই উল্লাস করছেন উরুগুয়ের হয়ে। মাঠে হাজির ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও।
বড়দের আসরে আর্জেন্টিনা জেতায় ইউরোপিয়ান আধিপত্যের অবসান হয়েছিল। এবার ছোটদের টুর্নামেন্টেও ঘটলো একই ঘটনা। চার আসরে শিরোপা ঘরে তুলেছে ইউরোপিয়ান দল। উরুগুয়ে সেই ধারায় ছেদ টেনে দিয়েছে। তাতে ২০১১ সালের পর লাতিন অঞ্চল থেকে ট্রফি ঘরে তুলেছে কোনও দল। সর্বশেষ ২০১১ সালে ব্রাজিল শিরোপা জিতেছিল।
টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার ছিলেন ইতালির কাসাদেয়ি। সাত গোল করলেও ফাইনালে ছিলেন নিষ্প্রভ।
জয়ের নায়ক রদ্রিগেজ অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। শুধু বলেছেন, ‘আমরা এটার যোগ্য।’ ইতালির কোচ নুনজিয়াতা উরুগুয়েকে কৃতিত্ব দিলেও মাঠের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন মাঠ তার শিষ্যদের খেলায় প্রভাব ফেলেছে।
এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে অভিষেক টুর্নামেন্ট খেলতে আসা ইসরায়েল।