সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে নগরীর ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৪টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিলেট সিটি নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই প্রথম সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এদিকে ভোটর শুরুর আগ থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন ভোটাররা। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। লাইনে দাঁড়িয়ে তারা ভোট দেওয়ার অপেক্ষা করছেন।
১০ ওয়ার্ডের মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরুর ১৫ মিনিট আগে থেকেই লাইনে দাঁড়ান ভোটাররা। ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরনের কৌতূহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোট দিচ্ছেন তারা।
এবারের সিলেট সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র আছে মোট ১৯০টি কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরমধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত হলেও আজ সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টি হয়নি। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি না হওয়ায় সকাল পৌনে ৮টা থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
এবার আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী হামলার শিকার হলে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই বলে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচনে ইভিএমে তার প্রতীক হাতপাখা আছে।
নগরপিতা হতে মাঠে আছেন সাত মেয়র প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।