ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রীতি ফুটবল খেলায় দাওয়াত না পাওয়ায় খেলা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গ্রাম পুলিশ নিয়ে খেলা বন্ধ করতে গেলে চেয়ারম্যানকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে আয়োজক কমিটি ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আয়োজক কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে কয়েকবার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে ধর্মী আচারসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করলেও চেয়ারম্যান উপস্থিত হতেন না। আমন্ত্রণ পেয়েও না আসায় এবার অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় যুব সমাজের আয়োজনে ফুটবল প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয় দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত স্থানীয় খেলোয়াড়রা অংশ নেন। খেলা চলাকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোজকন মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের তালিকা চান। এতে জনরোষে পড়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা।
অবরুদ্ধ হওয়ার পর চেয়ারম্যান বিষয়টি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। পরে তাকে উদ্ধার করতে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ যায় দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে ঘণ্টাখানেক পর চেয়ারম্যানকে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, ইউএনও অফিস, থানা কিংবা ইউপিকে না জানিয়ে খেলার আয়োজন করে আয়োজক কমিটি। খেলায় ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার ও বিষয় রয়েছে। আমি এ জন্য মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের তালিকা চাই। তালিকা না দিয়ে প্রধান অতিথি বলেন খেলা হবে। এরপরে সেখানে উপস্থিত কিছু মাদকাসক্ত লোকজনের প্ররোচনায় আমার ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। তারা আমাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে খেলার প্রধান অতিথি স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু বলেন, খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর চেয়ারম্যান গিয়ে খেলা বন্ধ করে দিয়ে খেলোয়াড়দের তালিকা চান। এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে যায়। আমি এক আত্মীয়র জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। পরে আমি গিয়ে সহযোগিতা করে তাকে উদ্ধার করেছি। চেয়ারম্যানের অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা।
বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে উত্তেজিত জনতাকে প্রশমিত করে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি।