বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে জামরুল হাসান (৫৫) নামে এক নৌকার বাবুর্চির নিখোজ হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুই গ্রামের মৃত হারুন রশীদের ছেলে। এ ঘটনায় আরো তিন পর্যটক আহত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের হাওরে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরংগ্রামের পাশে পালই হাওরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ২০ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার নৌকাঘাট থেকে একটি পর্যটকবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট এলাকায় ভ্রমণে যাচ্ছিল। পথে রাত হয়ে যাওয়ার কারণে তারা তরং গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই গ্রামের পাশ দিয়ে হাওরে খুব নিচু করে পল্লী বিদ্যুতের তার টানানো। নৌকার ছইয়ের উপরে থাকা লোকজন গতিরোধ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে চলন্ত নৌকটি পাটলাই নদীর তীরে থাকা একটি করচ গাছে ধাক্কা লেগে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায়। এ সময় রুবেল ও সুমনসহ তিন পর্যটক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। জামরুল হাসান (৫৫) নামে একজন নৌকা ছাদ থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাওরে পড়ে নিখোঁজ হন। জামরুল পর্যটকবাহী নৌকায় বাবুর্চির কাজ করতেন। তিন জন আহতকে রাতেই শ্রীপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে নৌকা চালানোর জন্য এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় আহতদের অবস্থা এখন ভালো। আমি রাতেই ঘটনাস্থলে এসেছি। শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে অভিযান চালাবে। নৌকার অন্য পর্যটকরা নিরাপদে আছেন।’