ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার Logo শান্তিগঞ্জের আসামমুড়ায় ​ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল Logo দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন Logo জগন্নাথপুরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণ মোদক কে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করে Logo দিরাইয়ে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার Logo তুফানে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর,নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই Logo দোয়ারাবাজারে ঘিলাতলী ব্রিজে রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি।। দূর্ভোগ চরমে

জিনের বাদশা সেজে প্রতারানা, শেষমেষ সিআইডির জালে ধরা

জিনের বাদশা সেজে প্রতারণার মাধ্যমে ভাগ্য ফেরাতে চেয়েছিলেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের ফুলগাছিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলাম। ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নতুন ব্যবসাও খুলে বসেছিলেন। কিন্তু প্রতারণার শিকার ব্যক্তির মামলার কারণে শেষ রক্ষা হলো না তার। স্ত্রী ও সহযোগীসহ সিআইডির জালে ধরা পড়ে কারাগারে ঠাঁই হচ্ছে তার।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডি যশোরের পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতার প্রতারকরা হলেন- চক্রের হোতা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফুলগাছিয়া গ্রামের আঙ্গুর শিকদারের ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও সহযোগী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভূতবানা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আলিফ মিয়া (২০)।

ভুক্তভোগী যশোর শহরের কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, তিনি পাবনার কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসা করতেন। এতে তার চার লাখ টাকা আটকা পড়ে। ওই টাকা উঠাতে ব্যর্থ হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এরপর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টাকা উদ্ধারের সহায়তার বিজ্ঞাপন দেখে তাদের নম্বরে ফোন দেন। নির্দেশনা মতে দুই হাজার টাকাও দেন। এরপর ওই মোবাইল থেকে ফোন করে আবুল হোসেনকে পাওনা চার লাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি জিনের মাধ্যমে আরও ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা অর্জনের প্রলোভন দেখানো হয়।

তিনি জানান, ওই প্রলোভনে পড়ায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্র তার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি আইনের আশ্রয় নেন। সর্বশেষ সিআইডি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রের হোতা ফখরুল ইসলাম, তার স্ত্রীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

চক্রের হোতা ফখরুল ইসলাম জানান, কাজকর্ম হারিয়ে বেকার জীবনযাপন করছিলেন। গ্রামে তার চাচাতো ভাইয়েরা জিনের বাদশার নামে প্রতারণার ব্যবসা করে। তাদের সাহায্য নিয়ে একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ভাগ্য ফেরাতে চেয়েছিলেন। এরপর  সে টাকা দিয়ে নিজে ব্যবসাও খুলে বসেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, তাদের আটক হতে হয়েছে।

সিআইডি যশোরের পুলিশ সুপার জানান, তারা সোনার কলসিতে ১৩ কোটি টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়েছিল। মামলাটি হাতে আসার পর তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার

জিনের বাদশা সেজে প্রতারানা, শেষমেষ সিআইডির জালে ধরা

আপডেট সময় ০৫:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

জিনের বাদশা সেজে প্রতারণার মাধ্যমে ভাগ্য ফেরাতে চেয়েছিলেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের ফুলগাছিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলাম। ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নতুন ব্যবসাও খুলে বসেছিলেন। কিন্তু প্রতারণার শিকার ব্যক্তির মামলার কারণে শেষ রক্ষা হলো না তার। স্ত্রী ও সহযোগীসহ সিআইডির জালে ধরা পড়ে কারাগারে ঠাঁই হচ্ছে তার।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডি যশোরের পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতার প্রতারকরা হলেন- চক্রের হোতা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফুলগাছিয়া গ্রামের আঙ্গুর শিকদারের ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও সহযোগী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভূতবানা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আলিফ মিয়া (২০)।

ভুক্তভোগী যশোর শহরের কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, তিনি পাবনার কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসা করতেন। এতে তার চার লাখ টাকা আটকা পড়ে। ওই টাকা উঠাতে ব্যর্থ হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এরপর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টাকা উদ্ধারের সহায়তার বিজ্ঞাপন দেখে তাদের নম্বরে ফোন দেন। নির্দেশনা মতে দুই হাজার টাকাও দেন। এরপর ওই মোবাইল থেকে ফোন করে আবুল হোসেনকে পাওনা চার লাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি জিনের মাধ্যমে আরও ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা অর্জনের প্রলোভন দেখানো হয়।

তিনি জানান, ওই প্রলোভনে পড়ায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্র তার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি আইনের আশ্রয় নেন। সর্বশেষ সিআইডি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রের হোতা ফখরুল ইসলাম, তার স্ত্রীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

চক্রের হোতা ফখরুল ইসলাম জানান, কাজকর্ম হারিয়ে বেকার জীবনযাপন করছিলেন। গ্রামে তার চাচাতো ভাইয়েরা জিনের বাদশার নামে প্রতারণার ব্যবসা করে। তাদের সাহায্য নিয়ে একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ভাগ্য ফেরাতে চেয়েছিলেন। এরপর  সে টাকা দিয়ে নিজে ব্যবসাও খুলে বসেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, তাদের আটক হতে হয়েছে।

সিআইডি যশোরের পুলিশ সুপার জানান, তারা সোনার কলসিতে ১৩ কোটি টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়েছিল। মামলাটি হাতে আসার পর তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।