ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

গাজীপুরে গ্যাস বিস্ফারণে বাবা ছেলের মৃত্যু

গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজারে একটি বাসায় ভয়াভহ গ্যাস বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। বিস্ফোরণে আহত চারজনের মধ্যে বাবার পর পুত্রও মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ফরমান আলীর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ১৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ তার ছেলে মিনারুল ইসলাম আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে তিনিও মারা গেছেন। এছাড়া দগ্ধ মিনারুলের বৃদ্ধা মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩৪) নামে গ্যাস মিস্ত্রির চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, মিনারুল ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা। তিনি মহানগরীর বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে বসবাস করেন। রোববার বিকেলে তাদের বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে মিস্ত্রি এনে মেরামতের সময় সিলিন্ডারের গ্যাসপাইপ লিকেজ হয়ে যায়। এতে কিছু গ্যাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে মিস্ত্রি সিলিন্ডারটি মেরামত করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিনারুলের মা চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রান্নাঘরে থাকা মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল, তার বাবা ফরমান মণ্ডল ও মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম দগ্ধ হন। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তান পাশের অন্য একটি কক্ষে থাকায় তারা রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভর্তি করেন। এরপর তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্যাস বিস্ফারণে আহত চারজনের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাবি দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। যেহেতু এটা দুর্ঘটনা, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

গাজীপুরে গ্যাস বিস্ফারণে বাবা ছেলের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৪:০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজারে একটি বাসায় ভয়াভহ গ্যাস বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। বিস্ফোরণে আহত চারজনের মধ্যে বাবার পর পুত্রও মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ফরমান আলীর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ১৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ তার ছেলে মিনারুল ইসলাম আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে তিনিও মারা গেছেন। এছাড়া দগ্ধ মিনারুলের বৃদ্ধা মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩৪) নামে গ্যাস মিস্ত্রির চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, মিনারুল ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা। তিনি মহানগরীর বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে বসবাস করেন। রোববার বিকেলে তাদের বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে মিস্ত্রি এনে মেরামতের সময় সিলিন্ডারের গ্যাসপাইপ লিকেজ হয়ে যায়। এতে কিছু গ্যাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে মিস্ত্রি সিলিন্ডারটি মেরামত করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিনারুলের মা চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে রান্নাঘরে থাকা মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল, তার বাবা ফরমান মণ্ডল ও মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম দগ্ধ হন। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তান পাশের অন্য একটি কক্ষে থাকায় তারা রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভর্তি করেন। এরপর তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্যাস বিস্ফারণে আহত চারজনের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাবি দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। যেহেতু এটা দুর্ঘটনা, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।