কুমিল্লার চান্দিনায় প্রবাসী শহীদ উল্যাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
কুমিল্লায় প্রবাস ফেরত এক ব্যক্তিকে স্ত্রী-কন্যাসহ অন্যরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসির আদেশ ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- স্ত্রী হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, মো. আমির হোসেন, মো. শাহজাহান ও মো. মোস্তফা। তাদের মধ্যে হাছেনা ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে মোছা. খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজাকে। তিনি সম্পর্কে ভিকটিমের মেয়ে। সব আসামির বাড়ি জেলার চান্দিনা উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের কাদুটির কাশারীখোলা গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালে ২২ নভেম্বর ওই গ্রামে প্রবাস ফেরত সহিদ উল্লাহকে স্ত্রী-কন্যাসহ পাঁচজন মিলে শ্বাসরোধ করেন। পরে মরদেহ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাড. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আটজনের সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন।