ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি

দুর্গা পূজার পরেই বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বললেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি সেই কর্মসূচি যেন শেষ কর্মসূচি হয়।

কুমিল্লা-চট্টগ্রামে বিভাগীয় রোডমার্চের সমাপনী পথসভায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের এখানে (চট্টগ্রাম) শেষ রোডমার্চ। এরপর আর রোডমার্চ নেই। এরপর সব ঢাকায়, রাজধানীতে। এই মাসটা দেখতে চাই, সামনে দুর্গা পূজা আছে। তার আগে কঠোর কর্মসূচি দিতে চাই না। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমি কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

বিএনপি মহাসচিব ঘোষিত দলটির নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৯ অক্টোবর জেলা, মহানগর ও সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল; সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ; খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে অনশন; সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১৬ ঢাকায় যুব সমাবেশ এবং ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ। আর এই সমাবেশ থেকেই একদফা দাবি আদায়ে দলটির প্রত্যাশিত শেষ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার ইঙ্গিত দেন বিএনপির এ নেতা।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, চট্টগ্রামের সব মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। সব মানুষ শুনতে চায়, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি? আর কিছু শুনতে চায় না। ওরা টিকে আছে বন্দুকের জোরে। পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, অনেক সমাবেশ-রোডমার্চ করেছি। আপনারা অনেকের হাত রক্তে রঞ্জিত করেছেন, আমার ভাইদের ঘুম হারাম করেছেন, আমাদের অনেক ভাইকে হত্যা করেছেন, অনেক বোনকে স্বামীহারা করেছেন, অনেক সন্তানকে পিতৃহারা করেছেন, আমরা আর করতে দিবো না।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে চাই, অন্যায় হুকুমে গুলি করবেন না। অত্যাচার-নির্যাতন করবেন না। গায়েবি মামলা দিবেন না। মানুষ জেগে উঠেছে।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন। আপনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমাদের দাবি একটাই, পদত্যাগ করুন।

সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে আশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। অন্যথায় জনতাই সেই ক্ষমতা দখল করবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি

আপডেট সময় ১১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

দুর্গা পূজার পরেই বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বললেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি সেই কর্মসূচি যেন শেষ কর্মসূচি হয়।

কুমিল্লা-চট্টগ্রামে বিভাগীয় রোডমার্চের সমাপনী পথসভায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের এখানে (চট্টগ্রাম) শেষ রোডমার্চ। এরপর আর রোডমার্চ নেই। এরপর সব ঢাকায়, রাজধানীতে। এই মাসটা দেখতে চাই, সামনে দুর্গা পূজা আছে। তার আগে কঠোর কর্মসূচি দিতে চাই না। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমি কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

বিএনপি মহাসচিব ঘোষিত দলটির নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৯ অক্টোবর জেলা, মহানগর ও সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল; সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ; খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে অনশন; সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ১৬ ঢাকায় যুব সমাবেশ এবং ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ। আর এই সমাবেশ থেকেই একদফা দাবি আদায়ে দলটির প্রত্যাশিত শেষ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার ইঙ্গিত দেন বিএনপির এ নেতা।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, চট্টগ্রামের সব মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। সব মানুষ শুনতে চায়, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি? আর কিছু শুনতে চায় না। ওরা টিকে আছে বন্দুকের জোরে। পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, অনেক সমাবেশ-রোডমার্চ করেছি। আপনারা অনেকের হাত রক্তে রঞ্জিত করেছেন, আমার ভাইদের ঘুম হারাম করেছেন, আমাদের অনেক ভাইকে হত্যা করেছেন, অনেক বোনকে স্বামীহারা করেছেন, অনেক সন্তানকে পিতৃহারা করেছেন, আমরা আর করতে দিবো না।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে চাই, অন্যায় হুকুমে গুলি করবেন না। অত্যাচার-নির্যাতন করবেন না। গায়েবি মামলা দিবেন না। মানুষ জেগে উঠেছে।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন। আপনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমাদের দাবি একটাই, পদত্যাগ করুন।

সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে আশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। অন্যথায় জনতাই সেই ক্ষমতা দখল করবে।