ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে এই চিত্র দেখা গেছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজিএমইএ-এর পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ বছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৬ দশকি ২৭ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এর পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি চাপে পড়ে। এ অবস্থায় আমরা তৈরি পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

তিনি বলেন, একই সময়ে রপ্তানির বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং  লিডটাইম কমানোর মতো কাজগুলো আমরা করে চলেছি। এর ফলে যুদ্ধের মতো খারাপ সময়েও তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পেরেছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্পেন এবং ফ্রান্সেও রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শথাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ,  ৩৪ দশমিক ৩৯ শথাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

তবে জুলাই-নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ের হ্রাসের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। দেশটিতে আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

পশ্চিমের মতো অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে রপ্তানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ১০০ শতাংশের উপরে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মেক্সিকোতে ৫০ শতাংশ, ভারতে ৪৯ শতাংশ এবং ব্রাজিলে ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

আপডেট সময় ০৩:৩১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে এই চিত্র দেখা গেছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজিএমইএ-এর পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ বছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৬ দশকি ২৭ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এর পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি চাপে পড়ে। এ অবস্থায় আমরা তৈরি পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

তিনি বলেন, একই সময়ে রপ্তানির বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং  লিডটাইম কমানোর মতো কাজগুলো আমরা করে চলেছি। এর ফলে যুদ্ধের মতো খারাপ সময়েও তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পেরেছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্পেন এবং ফ্রান্সেও রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শথাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ,  ৩৪ দশমিক ৩৯ শথাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

তবে জুলাই-নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ের হ্রাসের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। দেশটিতে আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

পশ্চিমের মতো অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে রপ্তানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ১০০ শতাংশের উপরে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মেক্সিকোতে ৫০ শতাংশ, ভারতে ৪৯ শতাংশ এবং ব্রাজিলে ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।