এসে গেছে পবিত্র রমজান মাস। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করা হয় এই একটি মাস। তাই শরীর নিয়মিত প্যাটার্নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার আগে রোজার শুরুর কয়েক দিন কেউ কেউ অসুবিধা অনুভব করতে পারে। খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের ধরণে সব পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মে রমজান মাসে ফিট থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।তো, চলুন দেখে নেওয়া যাক পবিত্র এই মাসে সুস্থ থাকার কিছু টিপস।
অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন
নিঃসন্দেহে পুরো দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা জাগবে; কিন্তু ইফতারে বেশি খাওয়ার ফলে ক্লান্তি, পেটে ব্যথা এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, বেশি ক্যালোরি ও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকার জন্য রমজান জুড়ে আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন পর্যাপ্ত পরিমাণ দুগ্ধ ও প্রোটিন।এছাড়াও, হজম হতে বেশি সময় লাগে এমন খাবার খাওয়া ক্ষুধা রোধ করার একটি সহজ উপায়।
হাইড্রেটেড থাকা
সেহেরি ও ইফতারের সময় যতটা সম্ভব তরল পান করুন। তাজা ফলের জুস, স্মুদি, প্রোটিন শেক এবং এধরনের পানীয় শরীরকে চাঙ্গা করে তুলবে। তবে কফি, চা বা অধিক চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো তৃষ্ণা আরও বাড়াতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার ভিত্তি। তাই, ক্লান্তি দূর করতে দিনে ২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া রোজার সময় নিজেকে চাঙ্গা রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
সেহেরি বাদ দেবেন না
রমজান মাসে শেষ রাতের খাবার তথা সেহেরি হলো দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যা আমাদের নিয়মিত রুটিনে সকালের নাস্তার মতোই। তাই সারা দিন রোজা রাখার শক্তি পাওয়ার জন্য সেহেরিতে সুষম খাবার খাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম
আপনার শরীরকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। প্রতিদিনের ঘরের কাজ করুন বা অফিসে যান, হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামের মতো কাজগুলো শরীর সুস্থ রাখে।রোজায় বাড়তি মেদ ঝরাবার সুযোগ পাওয়া যায়, ইতিবাচক এই সুযোগটাকে কাজে লাগান।