ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

যে কারণে কারাগারে রাখা হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের

সর্বশেষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে এ কেন্দ্রীয় কারাগারটি। এরমধ্যে শ্রেণীপ্রাপ্ত (ডিভিশন) নারী এবং কিশোরী বন্দি ব্যারাকও রয়েছে। আলাদাভাবে রয়েছে কিশোর বন্দিদের জন্যে ব্যারাক নির্মাণের বিষয়টিও। শ্রেণিপ্রাপ্ত (ডিভিশন) নারী এবং কিশোরী বন্দিদের জন্য ৫২৫ বর্গ মিটারের একটি চার তলা ভবন  এবং কিশোর বন্দিদের জন্য ৮৬১ বর্গ মিটারের একটি চার তলা ভিত্তিবিশিষ্ট দুই তলা ভবন  নির্মানের কথা রয়েছে। জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা অংশে কারাবন্দিদের পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ দিয়ে কারাগারে বন্দিদের ঘনত্ব কমানোর জন্যই এমন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন করে যেসব কারাগার পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, তার সবগুলোতেই এ ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।কারা কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি। ‘রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এরমধ্যে বন্দিদের নিরাপদ আটক  নিশ্চিত করাও এর অন্যতম একটি কাজ। ‘বন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ, যথাযথভাবে তাদের বাসস্থান, খাবার, চিকিৎসা, স্বজন এবং আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করা হয়। একইসঙ্গে সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়’, বলে কারা অধিদফতরের ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আইনেই আছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য। এক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীদের কারাগারে আটক রাখা হলে— সেটাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। তাদের জন্য আলাদাভাবে সংশোধনাগার নির্মাণ করা যেতে পারে।’ তবে কারা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।কারা অধিদফতরের সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণত আদালত থেকেই বলে দেওয়া হয়— কম বয়সী কিশোর-কিশোরীদের বাইরে কিশোর সংশোধনাগারে রাখার জন্য। আদালত থেকে সুনির্দিষ্ট করে আদেশ না দিলে তাদের কারাগারেই রাখা হয় আলাদাভাবে।’ জায়গার সংকুলান না হওয়ার কারণেই তাদের কারাগারে রাখা হয় বলে জানান কারাগারের সাবেক এই কর্মকর্তা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা কিশোর অপরাধী, তাদের রাখার জন্য কারাগারগুলোতে তো আলাদাভাবে ব্যবস্থা করা আছে। আর এখন কারাগার তো একটা কারেকশান সেন্টার বা সংশোধনাগার। তাই সেখানে বয়স নির্বিশেষেই হওয়া উচিত। কিশোর-কিশোরীদের জন্য সেটা আরও বেশি প্রযোজ্য। সেখানে তাদেরকে সংশোধনের জন্য কার্যক্রম চালাতে হবে। সে কারণেই কারাগারের ভেতরে আলাদাভাবে ব্যারাক বা সেল তৈরি করা হচ্ছে।’কারাগার কি আসলেই সংশোধনার হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আসলেই এখনও পুরোপুরি কারেকশান সেন্টার হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এজন্য আমরা কিছু বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিতে যাচ্ছি। সারা দেশের কারাগারগুলোতে এ বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমাদের। কিশোর-কিশোরী ছাড়াও যারা বয়োবৃদ্ধ তাদের বিষয়গুলো তো বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখেই। আমরা সংশোধনাগার হিসেবে পরিণত করার উদ্যোগ নেবো।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

যে কারণে কারাগারে রাখা হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের

আপডেট সময় ০১:১৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
সর্বশেষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে এ কেন্দ্রীয় কারাগারটি। এরমধ্যে শ্রেণীপ্রাপ্ত (ডিভিশন) নারী এবং কিশোরী বন্দি ব্যারাকও রয়েছে। আলাদাভাবে রয়েছে কিশোর বন্দিদের জন্যে ব্যারাক নির্মাণের বিষয়টিও। শ্রেণিপ্রাপ্ত (ডিভিশন) নারী এবং কিশোরী বন্দিদের জন্য ৫২৫ বর্গ মিটারের একটি চার তলা ভবন  এবং কিশোর বন্দিদের জন্য ৮৬১ বর্গ মিটারের একটি চার তলা ভিত্তিবিশিষ্ট দুই তলা ভবন  নির্মানের কথা রয়েছে। জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা অংশে কারাবন্দিদের পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ দিয়ে কারাগারে বন্দিদের ঘনত্ব কমানোর জন্যই এমন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন করে যেসব কারাগার পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, তার সবগুলোতেই এ ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।কারা কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি। ‘রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এরমধ্যে বন্দিদের নিরাপদ আটক  নিশ্চিত করাও এর অন্যতম একটি কাজ। ‘বন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ, যথাযথভাবে তাদের বাসস্থান, খাবার, চিকিৎসা, স্বজন এবং আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করা হয়। একইসঙ্গে সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়’, বলে কারা অধিদফতরের ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আইনেই আছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য। এক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীদের কারাগারে আটক রাখা হলে— সেটাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। তাদের জন্য আলাদাভাবে সংশোধনাগার নির্মাণ করা যেতে পারে।’ তবে কারা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।কারা অধিদফতরের সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণত আদালত থেকেই বলে দেওয়া হয়— কম বয়সী কিশোর-কিশোরীদের বাইরে কিশোর সংশোধনাগারে রাখার জন্য। আদালত থেকে সুনির্দিষ্ট করে আদেশ না দিলে তাদের কারাগারেই রাখা হয় আলাদাভাবে।’ জায়গার সংকুলান না হওয়ার কারণেই তাদের কারাগারে রাখা হয় বলে জানান কারাগারের সাবেক এই কর্মকর্তা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা কিশোর অপরাধী, তাদের রাখার জন্য কারাগারগুলোতে তো আলাদাভাবে ব্যবস্থা করা আছে। আর এখন কারাগার তো একটা কারেকশান সেন্টার বা সংশোধনাগার। তাই সেখানে বয়স নির্বিশেষেই হওয়া উচিত। কিশোর-কিশোরীদের জন্য সেটা আরও বেশি প্রযোজ্য। সেখানে তাদেরকে সংশোধনের জন্য কার্যক্রম চালাতে হবে। সে কারণেই কারাগারের ভেতরে আলাদাভাবে ব্যারাক বা সেল তৈরি করা হচ্ছে।’কারাগার কি আসলেই সংশোধনার হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আসলেই এখনও পুরোপুরি কারেকশান সেন্টার হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এজন্য আমরা কিছু বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিতে যাচ্ছি। সারা দেশের কারাগারগুলোতে এ বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমাদের। কিশোর-কিশোরী ছাড়াও যারা বয়োবৃদ্ধ তাদের বিষয়গুলো তো বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখেই। আমরা সংশোধনাগার হিসেবে পরিণত করার উদ্যোগ নেবো।’