শখের বশে মাত্র ৩ জোড়া কবুতর পালন শুরু করেন ভোলার লালমোহনের অনার্স পড়ুয়া যুবক রাব্বীর (২২)। সেখান থেকে এখন তার সংগ্রহে ১০০ জোড়া কবুতর (২০০টি)।
যা থেকে প্রতিমাসে আয় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। এ অর্থে নিজের পড়ালেখার খরচ যোগানোর পাশাপাশি সংসারেও সহযোগিতা করছেন এই যুবক।
রাব্বী এখন স্বপ্ন দেখছেন বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনের। এদিকে রাব্বীর এমন সফলতায় লালমোহনের অন্য যুবকরাও ঝুঁকে পড়েছেন কবুতর পালনে।
লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাব্বী। পড়ছেন অনার্স ২য় বর্ষে। ৫ বছর আগে দেশীয় জাতের ৩ জোড়া কবুতর কেনেন রাব্বী। গোটা বিষয়টাই ছিল শখের বসে।
আর সেই শখের বসে কেনা সেই কবুতর এখন তার পরিবারে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতা।
মো. রাব্বী বলেন, শখের বসে কবুতর পালন করেছিলাম। এখন সেই কবুতর আমাকে অর্থের জোগান দিচ্ছে, নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আমার ইচ্ছা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কবুতর পালন করব।
রাব্বীর এমন সফলতায় খুশি তার দরিদ্র পিতাও। তিনিও উৎসাহ দিচ্ছেন ছেলেকে।
রাব্বীর বাবা মো. ফারুক বলেন, ছেলেকে এখন আর পড়লেখার খরচ দিতে হয় না। সে নিজেই কবুতর পালন করে খরচ মেটাচ্ছে।
এদিকে অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কবুতর পালন করে এলাকায় চমক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষিত এই যুবক। তার সফলতা দেখে অন্য যুবকরাও কবুতর পালনে ঝুঁকে পড়েছেন।
স্থানীয় যুবক শরীফ, আমজাদ ও নাহিদ বলেন, রাব্বীকে দেখা আমরা কবুতর পালনে আগ্রহী হয়েছি। এটি একদিকে কম পুজিতে করা যায় অন্যদিকে বাড়তি উপার্জন হয়।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা উপসহকারী প্রাণি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, এক কথা বলা যায় রাব্বী সফল যুবক। তাকে সব ধরনের সহায়তার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের।