ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

এবার দেখা মিলল চার পায়ের মোরগ, দেখতে জনতার ভিড়

একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীর জমেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে। কাছে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় চার পায়ের একটি মোরগ লাফিলে লাফিয়ে খেলছে আর সেই দৃশ্য মুগ্ধ নয়নে দেখছেন সবাই।

কোথায় থেকে  এলো এই চার পা বিশিষ্ঠ মোরগ, কোথায় তার উৎপত্তি।  এ বিষয়ে  খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় , নাচোল উপজেলার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মেশিনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করেন। গত দশ মাস আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামকে অনেকগুলো ডিম বাচ্চা ফোটানোর জন্য দেন। সবগুলো ডিমেই বাচ্চা ফোটে। খেয়াল করে দেখেন, এর মধ্যে একটি বাচ্চার পা চারটি। বিষয়টি ডিমের মালিক দেখতে পেয়ে সবগুলো বাচ্চা নিয়ে গেলেও ওই বাচ্চাটি রেখে যান। শফিকুলের বাড়িতেই বড় হতে থাকে বাচ্চাটি। একটু বড় হওয়ার পর বোঝা যায়, এটি মুরগি নয়, মোরগ। চার পায়ের এ মোরগের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। জানতে পেরে ৩০০ টাকা দিয়ে মোরগটি কিনে নেন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কের মালিক। এর পর থেকে সেখানেই রয়েছে মোরগটি। মোরগটির ওজন এখন প্রায় দুই কেজি। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। অনেকে কিনতে চাইছে মোরগটি।

পার্কে ঘুরতে আসা নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, চার পায়ের মোরগটি দেখে অদ্ভুত লেগেছে। কিন্তু মোরগটির রং খুব সুন্দর। দেখে ভালোই লাগল।

পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, বিনোদনের জন্য বেশ কিছু রাইড ও পশু-পাখি থাকলেও অনেকে মোরগটি দেখতেই পার্কে আসছেন। কেউ কেউ ছবি ও সেলফি তুলছে। পার্কে মোরগটি নিয়ে আসার পর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ যেন এটি। মোরগটি দেখার জন্যই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছে। শিশুরাও মোরগটি দেখে আনন্দ পাচ্ছে। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেওয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেছে। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। তবে এখনই মোরগটি বিক্রি করা হবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

এবার দেখা মিলল চার পায়ের মোরগ, দেখতে জনতার ভিড়

আপডেট সময় ০৭:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীর জমেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে। কাছে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় চার পায়ের একটি মোরগ লাফিলে লাফিয়ে খেলছে আর সেই দৃশ্য মুগ্ধ নয়নে দেখছেন সবাই।

কোথায় থেকে  এলো এই চার পা বিশিষ্ঠ মোরগ, কোথায় তার উৎপত্তি।  এ বিষয়ে  খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় , নাচোল উপজেলার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মেশিনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করেন। গত দশ মাস আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামকে অনেকগুলো ডিম বাচ্চা ফোটানোর জন্য দেন। সবগুলো ডিমেই বাচ্চা ফোটে। খেয়াল করে দেখেন, এর মধ্যে একটি বাচ্চার পা চারটি। বিষয়টি ডিমের মালিক দেখতে পেয়ে সবগুলো বাচ্চা নিয়ে গেলেও ওই বাচ্চাটি রেখে যান। শফিকুলের বাড়িতেই বড় হতে থাকে বাচ্চাটি। একটু বড় হওয়ার পর বোঝা যায়, এটি মুরগি নয়, মোরগ। চার পায়ের এ মোরগের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। জানতে পেরে ৩০০ টাকা দিয়ে মোরগটি কিনে নেন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কের মালিক। এর পর থেকে সেখানেই রয়েছে মোরগটি। মোরগটির ওজন এখন প্রায় দুই কেজি। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। অনেকে কিনতে চাইছে মোরগটি।

পার্কে ঘুরতে আসা নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, চার পায়ের মোরগটি দেখে অদ্ভুত লেগেছে। কিন্তু মোরগটির রং খুব সুন্দর। দেখে ভালোই লাগল।

পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, বিনোদনের জন্য বেশ কিছু রাইড ও পশু-পাখি থাকলেও অনেকে মোরগটি দেখতেই পার্কে আসছেন। কেউ কেউ ছবি ও সেলফি তুলছে। পার্কে মোরগটি নিয়ে আসার পর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ যেন এটি। মোরগটি দেখার জন্যই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছে। শিশুরাও মোরগটি দেখে আনন্দ পাচ্ছে। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেওয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেছে। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। তবে এখনই মোরগটি বিক্রি করা হবে না।