বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন হয়, যার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।এই নীতির কারণে বাংলাদেশে ওষুধের দাম শুধু সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আসেনি, বরং বিশ্বের ১৫০টির মতো দেশে এখন ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ সালের ১২ই জুন অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়, যা ১৯৪০ সালের মান্ধাতার আমলের ওষুধ আইন এবং ১৯৪৬ সালের বেঙ্গল ওষুধ রুলকে প্রতিস্থাপন করে।এর আগে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে চাহিদার শতকরা ৭০% এর বেশি ওষুধ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হতো।এ কারণে সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে থেকে শুরু করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ওষুধ কেনা ছিল খুব কষ্টসাধ্য।ওষুধ নীতির কারণে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদন শুরু হয়, যার কারণে আমদানি নির্ভরতা কমে আসে। ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই ওষুধের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে শুরু করে।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রশিদ-ই-মাহবুব বিবিসি বাংলাকে বলেন, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে কোন ওষুধ শিল্প ছিল না।”আগে বহুজাতিক কোম্পানি থেকে অনেক দামে ওষুধ কিনতে হতো। এখন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো উৎপাদন করায় এবং সরকার জরুরি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে,” বলেন অধ্যাপক মাহবুব।এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধ নীতি প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে ১৭৮০টি ব্র্যান্ডের ওষুধ আমদানি করতো। নীতি প্রণয়নের পর ওষুধ আমদানির সংখ্যা ২২৫টিতে নেমে আসে।দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি ওষুধ সরবরাহ, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কাছে সুলভে কীভাবে ওষুধ পৌঁছানো যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনার এক পর্যায়ে ওষুধ নীতি প্রণয়নের বিষয়টি মাথায় আসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।বাংলাদেশের এই ওষুধ নীতি তৎকালীন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছিল। ওষুধ নীতিটি ২০০৫ সালে এবং ২০১৬ সালে নবায়ন হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এই নীতির কারণে বাংলাদেশে ওষুধের দাম শুধু সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আসেনি, বরং বিশ্বের ১৫০টির মতো দেশে এখন ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ সালের ১২ই জুন অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়, যা ১৯৪০ সালের মান্ধাতার আমলের ওষুধ আইন এবং ১৯৪৬ সালের বেঙ্গল ওষুধ রুলকে প্রতিস্থাপন করে।এর আগে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে চাহিদার শতকরা ৭০% এর বেশি ওষুধ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হতো।এ কারণে সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে থেকে শুরু করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ওষুধ কেনা ছিল খুব কষ্টসাধ্য।ওষুধ নীতির কারণে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদন শুরু হয়, যার কারণে আমদানি নির্ভরতা কমে আসে। ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই ওষুধের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে শুরু করে।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রশিদ-ই-মাহবুব বিবিসি বাংলাকে বলেন, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে কোন ওষুধ শিল্প ছিল না।”আগে বহুজাতিক কোম্পানি থেকে অনেক দামে ওষুধ কিনতে হতো। এখন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো উৎপাদন করায় এবং সরকার জরুরি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে,” বলেন অধ্যাপক মাহবুব।এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধ নীতি প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে ১৭৮০টি ব্র্যান্ডের ওষুধ আমদানি করতো। নীতি প্রণয়নের পর ওষুধ আমদানির সংখ্যা ২২৫টিতে নেমে আসে।দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি ওষুধ সরবরাহ, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কাছে সুলভে কীভাবে ওষুধ পৌঁছানো যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনার এক পর্যায়ে ওষুধ নীতি প্রণয়নের বিষয়টি মাথায় আসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।বাংলাদেশের এই ওষুধ নীতি তৎকালীন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছিল। ওষুধ নীতিটি ২০০৫ সালে এবং ২০১৬ সালে নবায়ন হয়েছে।