ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে Logo ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার বোঝা তরুণদের ঘাড়ে চাপিয়েছে সরকার: সুনামগঞ্জে নাহিদ ইসলাম Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ মুশতাক Logo দিরাইয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo শান্তিগঞ্জে লেগুনা-সিএনজি সংঘর্ষে দুইজন নিহত, আহত ৬ Logo প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইউএনও সুকান্ত সাহা Logo “সম্মানে উজ্জ্বল প্রাথমিক শিক্ষা: শান্তিগঞ্জে স্বীকৃতির উৎসব” Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ Logo শান্তিগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা টিফিন ও পানির বোতল বিতরণ

বন্ধ হচ্ছে জার্মানির শেষ তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

অবশিষ্ট তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শনিবার বন্ধ করতে যাচ্ছে জার্মানি। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি দিয়ে চাহিদা পূরণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর বাজি ধরতে যাচ্ছে দেশটি। যদিও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে দেশটিতে জ্বালানি সংকট রয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।১৯৮৯ সাল থেকে স্টুটগার্টের কাছে গড়ে ওঠা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শিগগিরই স্মৃতি হয়ে যাবে জার্মানিতে। এ ছাড়া বাভারিয়া ও এমল্যান্ডের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যাবে।এমন সময় জার্মানি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যখন অনেক পশ্চিমা দেশ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে পারমাণবিক বিদ্যুতে ফেরত যাচ্ছে। তবে ইউরোপের বৃহত্তম দেশটি নিজের পরিকল্পনায় অটল। অবশ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাও রয়েছে দেশটিতে।২০০২ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টায় ছিল জার্মানি। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের শাসনামলে এইপ্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে ১৬টি চুল্লি বন্ধ করা হয়েছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানির পক্ষে সস্তায় জ্বালানি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় চ্যান্সেলর ওলাফশলৎজ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে যেতে সম্মত হন।গত বছর জার্মানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ছয় শতাংশ এসেছিল এই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৯৭ সালে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের হারছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।বিপরীতে ২০২২ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা এক দশকের আগের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হারে জার্মানি যদি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তবে তা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে।১৯৮৯ সাল থেকে স্টুটগার্টের কাছে গড়ে ওঠা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শিগগিরই স্মৃতি হয়ে যাবে জার্মানিতে। এ ছাড়া বাভারিয়া ও এমল্যান্ডের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যাবে। এমন সময় জার্মানি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যখন অনেক পশ্চিমা দেশ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে পারমাণবিক বিদ্যুতে ফেরত যাচ্ছে। তবে ইউরোপের বৃহত্তম দেশটি নিজের পরিকল্পনায় অটল। অবশ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাও রয়েছে দেশটিতে।২০০২ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টায় ছিল জার্মানি। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের শাসনামলে এইপ্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে ১৬টি চুল্লি বন্ধ করা হয়েছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানির পক্ষে সস্তায় জ্বালানি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় চ্যান্সেলর ওলাফশলৎজ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে যেতে সম্মত হন।গত বছর জার্মানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ছয় শতাংশ এসেছিল এই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৯৭ সালে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের হারছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।বিপরীতে ২০২২ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা এক দশকের আগের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হারে জার্মানি যদি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তবে তা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বন্ধ হচ্ছে জার্মানির শেষ তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট সময় ১২:১৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

অবশিষ্ট তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শনিবার বন্ধ করতে যাচ্ছে জার্মানি। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি দিয়ে চাহিদা পূরণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর বাজি ধরতে যাচ্ছে দেশটি। যদিও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে দেশটিতে জ্বালানি সংকট রয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।১৯৮৯ সাল থেকে স্টুটগার্টের কাছে গড়ে ওঠা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শিগগিরই স্মৃতি হয়ে যাবে জার্মানিতে। এ ছাড়া বাভারিয়া ও এমল্যান্ডের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যাবে।এমন সময় জার্মানি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যখন অনেক পশ্চিমা দেশ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে পারমাণবিক বিদ্যুতে ফেরত যাচ্ছে। তবে ইউরোপের বৃহত্তম দেশটি নিজের পরিকল্পনায় অটল। অবশ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাও রয়েছে দেশটিতে।২০০২ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টায় ছিল জার্মানি। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের শাসনামলে এইপ্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে ১৬টি চুল্লি বন্ধ করা হয়েছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানির পক্ষে সস্তায় জ্বালানি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় চ্যান্সেলর ওলাফশলৎজ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে যেতে সম্মত হন।গত বছর জার্মানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ছয় শতাংশ এসেছিল এই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৯৭ সালে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের হারছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।বিপরীতে ২০২২ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা এক দশকের আগের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হারে জার্মানি যদি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তবে তা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে।১৯৮৯ সাল থেকে স্টুটগার্টের কাছে গড়ে ওঠা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শিগগিরই স্মৃতি হয়ে যাবে জার্মানিতে। এ ছাড়া বাভারিয়া ও এমল্যান্ডের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যাবে। এমন সময় জার্মানি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যখন অনেক পশ্চিমা দেশ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে পারমাণবিক বিদ্যুতে ফেরত যাচ্ছে। তবে ইউরোপের বৃহত্তম দেশটি নিজের পরিকল্পনায় অটল। অবশ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাও রয়েছে দেশটিতে।২০০২ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টায় ছিল জার্মানি। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের শাসনামলে এইপ্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে ১৬টি চুল্লি বন্ধ করা হয়েছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানির পক্ষে সস্তায় জ্বালানি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় চ্যান্সেলর ওলাফশলৎজ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে যেতে সম্মত হন।গত বছর জার্মানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ছয় শতাংশ এসেছিল এই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৯৭ সালে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের হারছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।বিপরীতে ২০২২ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা এক দশকের আগের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হারে জার্মানি যদি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তবে তা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে।