অবশেষে জাটকা নিষেধাজ্ঞা সময়ের বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল পেয়েছেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার ২৭০ জন জেলে। বুধবার (৩ মে) দুপুর ২টায় উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদে তাদের এই চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপংকর দাশ, জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ও ট্যাগ অফিসার একাডেমিক সুপারভাইজার শ্যামাপদ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই আট মাস সুন্দরবন উপকূলে জাটকা ইলিশের প্রজনন মৌসুমের চলমান নিষেধাজ্ঞার চার মাসেও ভিজিএফের চাল পাননি তারা। । এরপর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম।প্রকাশিত ওই সংবাদে মোংলা উপজেলা মৎস্য অফিস বলেছে, সরকারের পক্ষ থেকে এই আট মাসে দুই দফায় জেলেদের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে ১৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের নিবন্ধিত ২৭০ জন জেলে এখনও প্রথম দফারই চাল পাননি। অথচ এই উপজেলার অন্য দুটি ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফার চালও বরাদ্দ হয়ে গেছে, কিছু জেলে সেই চালও পেয়েছেন। কেন জেলেরা প্রথম দফার চাল পাননি এ নিয়ে রবিবার (৩০ এপ্রিল) কথা হয় উপজেলা জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। ‘আমার এখানে চাঁদপাই, বুড়িডাঙ্গা, সোনাইলতলা এবং পৌর শহরের কিছু অংশের মোট ১ হাজার ১০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। জাটকা ইলিশের চলমান নিষেধাজ্ঞায় এই জেলেদের জন্য দুই দফায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম দফায় (ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস) বুড়িডাঙ্গা, সোনাইলতলা ও পৌরসভার জেলেদের চাল দেওয়া হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার চালও ঈদের দুই সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকার জেলেরা দ্বিতীয় দফার চালও পেয়েছেন। কিন্তু চাঁদপাই ইউনিয়নের ২৭০ জন জেলেরা এখনও প্রথম দফারই চাল পাননি স্বীকার করে তিনি দোষ চাপান ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ওপর। বলেন, ‘তাকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি (চেয়ারম্যান) গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তার গাফিলতির কারণে অসহায় জেলেরা প্রতিদিন তার অফিসে এসে ধরনা দিচ্ছেন’।এ বিষয়ে চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম ‘জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করতে একটু সময় লেগেছে। দু’চার দিনের মধ্যে দিয়ে দেবো।‘ তার এলাকার চাল পাবে ২৭০ জন জেলে।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপকংর দাশ বলেন, ‘আমি এ বিষয়টি জানতাম না, এখনই চেয়ারম্যানকে বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি’।এদিকে ইউএনও’র সাথে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার পর ওইদিন চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, ‘নিউজ করে বিপদে ফেইলেন না, বুধবার (৩ মে) জেলেদের চাল দিয়ে দিবো’।এদিকে বুধবার (৩ মে) দুপুরের পর থেকে সেই ২৭০ জন জেলেকে চাল দেওয়া শুরু করে চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল। এর সত্যতা নিশ্চিত করে মোংলা উপজেলার জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুর ২টা থেকে নিবন্ধিত ২৭০ জেলেকে চাল দেওয়া শুরু হয়। জেলেরা চাল পেয়ে খুশি হয়েছেন।’ জাতীয় মৎস্যজীবী জেলেদের মোংলার সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন, ‘প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের হাতে চাল পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু আপনারা নিউজ না করলে এই পেতে আরও দেরি হতো। এই ২৭০ জন জেলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।’
ঢাকা
,
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::










অবশেষে ভিজিএফের চাল পেলেন সেই ২৭০ জেলে
-
জনস্বার্থে নিউজ ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ১০:২৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
- ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ