ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরকল উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক জাহিদ কামাল। তিনি আরও জানান, রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে চারটি মামলা করেন।

মামলার ১ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের কামিনি চাকমা জমির উপর মৎস্য বাঁধ ও পাকা সেচ ড্রেইন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। ৪৮ মিটার বাঁধটি নির্মাণের জন্য ২০ লাখ ও ১৯২ মিটার দৈর্ঘ্যের পাকা ড্রেইন নির্মাণের জন্য ১০ লাখসহ মোট ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তদন্তে দুটি প্রকল্পে ৮ লাখ ৮০ হাজার ১৫৫.৮৫ টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই কাজে সংশ্লিষ্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, ঠিকাদার প্রো. মেসার্স সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ মিলন তালুকদারের নামে মামলা করা হয়।

মামলার ২ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলার সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭ লাখ টাকা। তদন্তে ওই স্থানে কোনও নলকূপ পাওয়া যায়নি। ফলে ওই কাজের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইনের নামে মামলা করা হয়।

মামলার ৩ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলায় সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টারের ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ লাখ টাকা। তদন্তে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পটি ভুয়া প্রকল্প হিসেবে প্রমাণিত হয়। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিাকাদার অমলেন্দু চাকমা প্রো. মেসার্স অমলেন্দু চাকমা, জেলা পরিসদ সদস্য সবির কুমার চাকমার নামে মামলা করা হয়।

মামলার ৪ নম্বর এজাহারে বলা হয়, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়য়া মৎস্য বাঁধ থেকে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামে প্রকল্প ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। তদন্তে এই স্থানে কোন মৎস্য বাঁধ এবং হারুন টিলা নামের কোনও জায়গা পাওয়া যায়নি। তদন্তে পাওয়া গেছে এটি ভুয়া প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইন, মামুনুর রশীদ মামুন, চেয়াম্যান ৪ নম্বর ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কামাল বলেন, আজ এজাহার পেয়েছি। এজাহার মূলে আবারও তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ১২:১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরকল উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক জাহিদ কামাল। তিনি আরও জানান, রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে চারটি মামলা করেন।

মামলার ১ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের কামিনি চাকমা জমির উপর মৎস্য বাঁধ ও পাকা সেচ ড্রেইন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। ৪৮ মিটার বাঁধটি নির্মাণের জন্য ২০ লাখ ও ১৯২ মিটার দৈর্ঘ্যের পাকা ড্রেইন নির্মাণের জন্য ১০ লাখসহ মোট ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তদন্তে দুটি প্রকল্পে ৮ লাখ ৮০ হাজার ১৫৫.৮৫ টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই কাজে সংশ্লিষ্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, ঠিকাদার প্রো. মেসার্স সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ মিলন তালুকদারের নামে মামলা করা হয়।

মামলার ২ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলার সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭ লাখ টাকা। তদন্তে ওই স্থানে কোনও নলকূপ পাওয়া যায়নি। ফলে ওই কাজের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইনের নামে মামলা করা হয়।

মামলার ৩ নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলায় সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টারের ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ লাখ টাকা। তদন্তে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পটি ভুয়া প্রকল্প হিসেবে প্রমাণিত হয়। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিাকাদার অমলেন্দু চাকমা প্রো. মেসার্স অমলেন্দু চাকমা, জেলা পরিসদ সদস্য সবির কুমার চাকমার নামে মামলা করা হয়।

মামলার ৪ নম্বর এজাহারে বলা হয়, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়য়া মৎস্য বাঁধ থেকে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামে প্রকল্প ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। তদন্তে এই স্থানে কোন মৎস্য বাঁধ এবং হারুন টিলা নামের কোনও জায়গা পাওয়া যায়নি। তদন্তে পাওয়া গেছে এটি ভুয়া প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইন, মামুনুর রশীদ মামুন, চেয়াম্যান ৪ নম্বর ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কামাল বলেন, আজ এজাহার পেয়েছি। এজাহার মূলে আবারও তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।