ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

এখনও অরক্ষিত বেশিরভাগ পোশাক কারখানা!

রানা প্লাজা ভবন ধসের ১০ বছর পূর্ণ হলো। এখনও পোশাককর্মীদের জন্য নিরাপদ কারখানা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তারা বলছেন, ঘটনার পর বছর দুয়েক নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কারখানা কাজ করেছে। কিন্তু এখনও তালা মেরে রাখা, নিম্নমানের ভবনে কারখানা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার মতো বিষয়গুলো বিদ্যমান। অ্যাক্টিভিস্ট ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, রানা প্লাজা ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকর্ড  ও অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে গার্মেন্টস কারখানা সুরক্ষায় বেশ কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু পোশাককর্মীদের যেসব সুবিধা দরকার, যেমন- বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আগুন নির্বাপণ, বিল্ডিং কোড মানা, শিশু যত্নকেন্দ্র আছে কিনা—সেগুলো বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত নেই। যে শ্রমিকের হাত ধরে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, সেই শ্রমিকের জীবন রক্ষার কথা সংশ্লিষ্ট কেউই ভাবেন না।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন, যা বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ভবন ধসের ১০ বছর উপলক্ষে দাতা সংস্থা অ্যাকশন এইড ২০০ শ্রমিকের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে। সেখানে বেরিয়ে আসে বিস্ময়কর তথ্য। প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের কারখানায় যন্ত্রপাতিসহ উপস্থিত বিভিন্ন ঝুঁকি বিদ্যমানতার তথ্য তুলে ধরেন। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং আলো, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। উত্তরদাতাদের প্রায় ২০ শতাংশ রিপোর্ট করেছেন, তাদের কারখানাগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। জরিপে উত্তরদাতা ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, জরুরি অগ্নি নির্গমন ব্যবস্থা নেই। উপরন্তু, ২০ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন, তাদের কারখানায় কোনও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র নেই।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

এখনও অরক্ষিত বেশিরভাগ পোশাক কারখানা!

আপডেট সময় ১১:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

রানা প্লাজা ভবন ধসের ১০ বছর পূর্ণ হলো। এখনও পোশাককর্মীদের জন্য নিরাপদ কারখানা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তারা বলছেন, ঘটনার পর বছর দুয়েক নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কারখানা কাজ করেছে। কিন্তু এখনও তালা মেরে রাখা, নিম্নমানের ভবনে কারখানা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার মতো বিষয়গুলো বিদ্যমান। অ্যাক্টিভিস্ট ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, রানা প্লাজা ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকর্ড  ও অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে গার্মেন্টস কারখানা সুরক্ষায় বেশ কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু পোশাককর্মীদের যেসব সুবিধা দরকার, যেমন- বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আগুন নির্বাপণ, বিল্ডিং কোড মানা, শিশু যত্নকেন্দ্র আছে কিনা—সেগুলো বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত নেই। যে শ্রমিকের হাত ধরে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, সেই শ্রমিকের জীবন রক্ষার কথা সংশ্লিষ্ট কেউই ভাবেন না।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন, যা বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ভবন ধসের ১০ বছর উপলক্ষে দাতা সংস্থা অ্যাকশন এইড ২০০ শ্রমিকের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে। সেখানে বেরিয়ে আসে বিস্ময়কর তথ্য। প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের কারখানায় যন্ত্রপাতিসহ উপস্থিত বিভিন্ন ঝুঁকি বিদ্যমানতার তথ্য তুলে ধরেন। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং আলো, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। উত্তরদাতাদের প্রায় ২০ শতাংশ রিপোর্ট করেছেন, তাদের কারখানাগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। জরিপে উত্তরদাতা ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, জরুরি অগ্নি নির্গমন ব্যবস্থা নেই। উপরন্তু, ২০ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন, তাদের কারখানায় কোনও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র নেই।