ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ শুরু Logo শান্তিগঞ্জ পাথারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আজমল হুসেন , সেক্রেটারি মোঃশেকুল ইসলাম। Logo উপাচার্যকে নিয়ে মানহানিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে ছাত্র—জনতার আন্দোলনে হামলা বিশ্বম্ভরপুর আ’লীগ সভাপতিসহ ৫ নেতা কারাগারে Logo শান্তিগঞ্জে ব্রাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo ছাতকে ভারতীয় চিনি সহ এক চোরাকারবারি গ্রেফতার Logo জগন্নাথপুরে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo দোয়ারাবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে আইন সহায়তা দিবস পালিত Logo সুনামগঞ্জে নার্সিং শিক্ষার্থীদের সড়কে বিক্ষোভ

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় বাধা দিলেন কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের সখীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় নারী ইউএনওকে বাধা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তুতির সময় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারের নিজ বাড়িতে মারা যান। শনিবার দুপুরে আব্দুল হামিদ খানের জানাজার আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য (গার্ড অব অনার) সেখানে যান সখীপুরের ইউএনও ফারজানা আলম। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গার্ড অব অনার দিতে ইউএনওকে বাধা দেন। সেইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে দিয়ে গার্ড অব অনার দিতে বলেন। এরপর ইউএনও চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনওর নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়।জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী ইউএনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোনও নারীর গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। যদি এখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে এখানকার অনেক কর্মকর্তাকে লাথি মেরে ঢাকায় পাঠাতাম।’তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করার কারণে এই ইউএনওকে আগামীকালের মধ্যে সখীপুর থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।’কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আব্দুল হামিদ খান একজন বড় মাপের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নাই, মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাননি। আমি খুবই মর্মাহত পুলিশের গার্ড অব অনার নিয়ে। রাত ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলেও শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে কেউ আসেননি। নারী যত বড়ই হোক জানাজায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, ‘আমি জানাজা পড়তে যাইনি।গিয়েছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হাজার লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা। তার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’জানাজায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমও গণি ও সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ শুরু

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় বাধা দিলেন কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০৫:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় নারী ইউএনওকে বাধা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তুতির সময় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারের নিজ বাড়িতে মারা যান। শনিবার দুপুরে আব্দুল হামিদ খানের জানাজার আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য (গার্ড অব অনার) সেখানে যান সখীপুরের ইউএনও ফারজানা আলম। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গার্ড অব অনার দিতে ইউএনওকে বাধা দেন। সেইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে দিয়ে গার্ড অব অনার দিতে বলেন। এরপর ইউএনও চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনওর নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়।জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী ইউএনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোনও নারীর গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। যদি এখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে এখানকার অনেক কর্মকর্তাকে লাথি মেরে ঢাকায় পাঠাতাম।’তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করার কারণে এই ইউএনওকে আগামীকালের মধ্যে সখীপুর থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।’কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আব্দুল হামিদ খান একজন বড় মাপের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নাই, মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাননি। আমি খুবই মর্মাহত পুলিশের গার্ড অব অনার নিয়ে। রাত ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলেও শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে কেউ আসেননি। নারী যত বড়ই হোক জানাজায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, ‘আমি জানাজা পড়তে যাইনি।গিয়েছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হাজার লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা। তার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’জানাজায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমও গণি ও সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব উপস্থিত ছিলেন।