ঢাকা , রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মধ্যনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo শান্তিগঞ্জে বিষপানে যুবকের করুণ মৃত্যু Logo “দিরাই-শাল্লায় শিশির মনিরের নৌকা বাইচে উৎসবের ঢেউ, লক্ষ মানুষের মিলনমেলা” Logo জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুশি Logo বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না স্নেহার — সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল এক সম্ভাবনার প্রদীপ Logo “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের বিজয়-বার্তা—সুনামগঞ্জে জেলা বিএনপির বিশাল গণমিছিল” Logo সুনামগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত Logo ছাতকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দ মিছিল করলো জামায়াতে ইসলামী Logo মধ্যনগরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। Logo শান্তিগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে জমিয়তের ঐতিহাসিক গণমিছিল ও আলোচনাসভা

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় বাধা দিলেন কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের সখীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় নারী ইউএনওকে বাধা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তুতির সময় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারের নিজ বাড়িতে মারা যান। শনিবার দুপুরে আব্দুল হামিদ খানের জানাজার আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য (গার্ড অব অনার) সেখানে যান সখীপুরের ইউএনও ফারজানা আলম। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গার্ড অব অনার দিতে ইউএনওকে বাধা দেন। সেইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে দিয়ে গার্ড অব অনার দিতে বলেন। এরপর ইউএনও চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনওর নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়।জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী ইউএনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোনও নারীর গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। যদি এখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে এখানকার অনেক কর্মকর্তাকে লাথি মেরে ঢাকায় পাঠাতাম।’তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করার কারণে এই ইউএনওকে আগামীকালের মধ্যে সখীপুর থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।’কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আব্দুল হামিদ খান একজন বড় মাপের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নাই, মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাননি। আমি খুবই মর্মাহত পুলিশের গার্ড অব অনার নিয়ে। রাত ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলেও শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে কেউ আসেননি। নারী যত বড়ই হোক জানাজায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, ‘আমি জানাজা পড়তে যাইনি।গিয়েছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হাজার লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা। তার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’জানাজায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমও গণি ও সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মধ্যনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় বাধা দিলেন কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০৫:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে গার্ড অব অনার দিতে যাওয়ায় নারী ইউএনওকে বাধা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তুতির সময় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারের নিজ বাড়িতে মারা যান। শনিবার দুপুরে আব্দুল হামিদ খানের জানাজার আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য (গার্ড অব অনার) সেখানে যান সখীপুরের ইউএনও ফারজানা আলম। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গার্ড অব অনার দিতে ইউএনওকে বাধা দেন। সেইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে দিয়ে গার্ড অব অনার দিতে বলেন। এরপর ইউএনও চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য কাদের সিদ্দিকী চলে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনওর নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়।জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী ইউএনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কোনও নারীর গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। যদি এখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে এখানকার অনেক কর্মকর্তাকে লাথি মেরে ঢাকায় পাঠাতাম।’তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করার কারণে এই ইউএনওকে আগামীকালের মধ্যে সখীপুর থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাই।’কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আব্দুল হামিদ খান একজন বড় মাপের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নাই, মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাননি। আমি খুবই মর্মাহত পুলিশের গার্ড অব অনার নিয়ে। রাত ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলেও শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে কেউ আসেননি। নারী যত বড়ই হোক জানাজায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, ‘আমি জানাজা পড়তে যাইনি।গিয়েছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হাজার লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা। তার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’জানাজায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমও গণি ও সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব উপস্থিত ছিলেন।