ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

রাজমিস্ত্রি থেকে বিএসএস ক্যাডার জুয়েল আলী

টানাটানির সংসার, যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়; এমন অবস্থা দিন পার করতে হয়েছে। ৮ বছর বয়সে তার দিনমজুর বাবা মারা যান। তখন থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

এমন অভাব আর শত কষ্টের মধ্যে থেকেও জীবনযুদ্ধে থেমে যাননি লালপুর উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মৃত হাসান মোল্লার ছেলে জুয়েল আলী। টিউশুনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন তিনি। সেই জুয়েল এবার সদ্য প্রকাশিত ৪১তম বিসিএসে প্রকৌশলী ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং লালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

জুয়েলের মা জামেলা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অর্থাভাবে বারবার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে। তবে ভালো রেজাল্ট করার কারণে বিভিন্নভাবে পাওয়া সহযোগিতা দিয়ে লেখাপড়া চালিয়েছে জুয়েল, পাশাপাশি নিজে টিউশুনিও করেছে। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছে। কষ্টের দিনগুলো তার এখন শেষ হয়েছে, আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

জুয়েল আলী বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় মায়ের পাশাপাশি আমাকেও সংসারে হাল ধরতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে হয়েছে। কয়েকবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় আবারও পড়াশোনা শুরু করি। অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর থেকে একটি ব্যাংক ও ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছিলাম। এই বৃত্তির মাধ্যমে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছি। পরে বিসিএসের জন্য আমার স্ত্রী মানসিক ও আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় চাইতাম মায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজ সাফল্যের চ‚ড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছি। দায়িত্ব পালনকালে সব সময় আমি ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত কাজটা সঠিকভাবে করব।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

রাজমিস্ত্রি থেকে বিএসএস ক্যাডার জুয়েল আলী

আপডেট সময় ০৫:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

টানাটানির সংসার, যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়; এমন অবস্থা দিন পার করতে হয়েছে। ৮ বছর বয়সে তার দিনমজুর বাবা মারা যান। তখন থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

এমন অভাব আর শত কষ্টের মধ্যে থেকেও জীবনযুদ্ধে থেমে যাননি লালপুর উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মৃত হাসান মোল্লার ছেলে জুয়েল আলী। টিউশুনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন তিনি। সেই জুয়েল এবার সদ্য প্রকাশিত ৪১তম বিসিএসে প্রকৌশলী ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং লালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

জুয়েলের মা জামেলা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অর্থাভাবে বারবার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে। তবে ভালো রেজাল্ট করার কারণে বিভিন্নভাবে পাওয়া সহযোগিতা দিয়ে লেখাপড়া চালিয়েছে জুয়েল, পাশাপাশি নিজে টিউশুনিও করেছে। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছে। কষ্টের দিনগুলো তার এখন শেষ হয়েছে, আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

জুয়েল আলী বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় মায়ের পাশাপাশি আমাকেও সংসারে হাল ধরতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে হয়েছে। কয়েকবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় আবারও পড়াশোনা শুরু করি। অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর থেকে একটি ব্যাংক ও ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছিলাম। এই বৃত্তির মাধ্যমে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছি। পরে বিসিএসের জন্য আমার স্ত্রী মানসিক ও আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় চাইতাম মায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজ সাফল্যের চ‚ড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছি। দায়িত্ব পালনকালে সব সময় আমি ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত কাজটা সঠিকভাবে করব।