ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২৫ Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্মদিন আজ

স্পোর্টস ডেস্কঃ

কারও কাছে বিদ্রোহী, কারও কাছে ফুটবলের ঈশ্বর হিসেবে পরিচিত তিনি। তবে তাকে যেভাবে ডাকা হোক না কেন, তিনি দিয়াগো ম্যারাডোনা। আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ৬৩তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন ম্যারাডোনা।

১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে তার বেড়ে ওঠা। তিন কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান। তার ছোট দুই ভাই হুগো এবং রাউলও পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।

মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ষোল বছর বয়সে পা দেয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার, বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে।

তবে ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি ক্লাবটির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ এবং শতাব্দীর সেরা গোলটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। এ আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এই ফুটবল কিংবদন্তি। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। ১৯৭৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে আর্জেন্টাইন মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি।

ক্যারিয়ারে কোচিংও করিয়েছেন ম্যারাডোনা। ২০০৮ সালে ছিলেন মেসিদের কোচ। সেবার নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করে ২০১০ বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় ম্যারাডোনার দল।

হাসি-আনন্দে ব্যস্ত থাকা এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মাত্র ৬০ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ তার ঐতিহাসিক গোল ভ্ক্তদের হৃদয়ে তাকে বাঁচিয়ে সহস্র বছর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২৫

কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্মদিন আজ

আপডেট সময় ১১:২৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্কঃ

কারও কাছে বিদ্রোহী, কারও কাছে ফুটবলের ঈশ্বর হিসেবে পরিচিত তিনি। তবে তাকে যেভাবে ডাকা হোক না কেন, তিনি দিয়াগো ম্যারাডোনা। আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ৬৩তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন ম্যারাডোনা।

১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে তার বেড়ে ওঠা। তিন কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান। তার ছোট দুই ভাই হুগো এবং রাউলও পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।

মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ষোল বছর বয়সে পা দেয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার, বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে।

তবে ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি ক্লাবটির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ এবং শতাব্দীর সেরা গোলটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। এ আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এই ফুটবল কিংবদন্তি। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। ১৯৭৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে আর্জেন্টাইন মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি।

ক্যারিয়ারে কোচিংও করিয়েছেন ম্যারাডোনা। ২০০৮ সালে ছিলেন মেসিদের কোচ। সেবার নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করে ২০১০ বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় ম্যারাডোনার দল।

হাসি-আনন্দে ব্যস্ত থাকা এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মাত্র ৬০ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ তার ঐতিহাসিক গোল ভ্ক্তদের হৃদয়ে তাকে বাঁচিয়ে সহস্র বছর।