ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo কুরআন বিরোধী প্রতিবেদন বাতিলের দাবীতে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ Logo দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা Logo এডঃ মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল সৈয়দপুর আদর্শ কলেজের সভাপতি নির্বাচিত, জগন্নাথপুর বিএনপি নেতৃবৃন্দ এর অভিনন্দন Logo কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে- খাদ্য উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন Logo শান্তিগঞ্জে আ.লীগ নেতা ছহিল মিয়া চৌধুরী গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নিরীহ পরিবারের ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ Logo তাহিরপুর সীমান্তে ইয়াবাসহ যুবক আটক Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবীতে সুনামগঞ্জে প্রতীকী অনশন

নির্বাচনের আগে তুরস্কে কুর্দি অঞ্চলে গণগ্রেফতার

নির্বাচনের আগে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে তুর্কি পুলিশ। মঙ্গলবার দেশটির গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কথিত জঙ্গি সম্পর্কের অভিযোগে ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুর্দিপন্থি একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ১৪ মে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, আইনজবীবী ও সাংবাদিক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতার অভিযানটির মূল মনোযোগ ছিল কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের বৃহত্তম শহর দিয়ারবাকিরকে কেন্দ্র করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১টি প্রদেশেই অভিযান চালানো হয়েছে।প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হলো। ২০০২ সালে একে পার্টির নেতা রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর এবারই সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) আইনপ্রণেতা তাইপ টেমেল টুইটারে লিখেছেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে, তারা আবার গ্রেফতার অভিযানের আশ্রয় নিয়েছে।তিনি আরও লিখেছেন, দিয়ারবাকিরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তার দলের সিনিয়র সদস্য, সাংবাদিক, শিল্পী ও আইনজীবীসহ কয়েক ডজন রাজনীতিবিদ রয়েছেন।দিয়ারবাকিরের প্রসিকিউটর কার্যালয় গ্রেফতার অভিযান নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে,২১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর পুলিশ ১৮৬টি ঠিকানায় একযোগে অভিযান চালিয়েছে। কিছু ডিজিটাল সামগ্রী জব্দ করেছে।তিনি বলেন, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে তুরস্ক এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত পিকেকে-এর জন্য অর্থায়ন, কর্মী সংগ্রহ এবং প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে।মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার সহযোগী পরিচালক এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব বলেন, তদন্তের নথি পাওয়া যাচ্ছে না। এটি নির্বাচনের আগে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভয় দেখানোর কৌশল।তুর্কি পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল এইচডিপি একটি সাংবিধানিক আদালতের মামলায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। দলটির বিরুদ্ধে পিকেকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, যা এইচডিপি অস্বীকার করে আসছে। ছোট গ্রিন পার্টির ছায়ায় দলটির প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন।তুরস্কের প্রধান বিরোধী জোটের অংশ নয় এইচডিপি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা এরদোয়ানের দমন-পীড়নের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। দলটির কয়েক হাজার সদস্য, আইনপ্রণেতা এবং মেয়রকে পিকেকে-এর সঙ্গে কথিত সম্পর্কের অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।১৯৮৪ সালে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে পিকেকে। তুরস্কের সঙ্গে পিকেকের সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুর্দিদের লড়াই দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং এখন ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নির্বাচনের আগে তুরস্কে কুর্দি অঞ্চলে গণগ্রেফতার

আপডেট সময় ০১:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

নির্বাচনের আগে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে তুর্কি পুলিশ। মঙ্গলবার দেশটির গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কথিত জঙ্গি সম্পর্কের অভিযোগে ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুর্দিপন্থি একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ১৪ মে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, আইনজবীবী ও সাংবাদিক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতার অভিযানটির মূল মনোযোগ ছিল কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের বৃহত্তম শহর দিয়ারবাকিরকে কেন্দ্র করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১টি প্রদেশেই অভিযান চালানো হয়েছে।প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হলো। ২০০২ সালে একে পার্টির নেতা রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর এবারই সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) আইনপ্রণেতা তাইপ টেমেল টুইটারে লিখেছেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে, তারা আবার গ্রেফতার অভিযানের আশ্রয় নিয়েছে।তিনি আরও লিখেছেন, দিয়ারবাকিরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তার দলের সিনিয়র সদস্য, সাংবাদিক, শিল্পী ও আইনজীবীসহ কয়েক ডজন রাজনীতিবিদ রয়েছেন।দিয়ারবাকিরের প্রসিকিউটর কার্যালয় গ্রেফতার অভিযান নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে,২১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর পুলিশ ১৮৬টি ঠিকানায় একযোগে অভিযান চালিয়েছে। কিছু ডিজিটাল সামগ্রী জব্দ করেছে।তিনি বলেন, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে তুরস্ক এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত পিকেকে-এর জন্য অর্থায়ন, কর্মী সংগ্রহ এবং প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে।মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার সহযোগী পরিচালক এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব বলেন, তদন্তের নথি পাওয়া যাচ্ছে না। এটি নির্বাচনের আগে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভয় দেখানোর কৌশল।তুর্কি পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল এইচডিপি একটি সাংবিধানিক আদালতের মামলায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। দলটির বিরুদ্ধে পিকেকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, যা এইচডিপি অস্বীকার করে আসছে। ছোট গ্রিন পার্টির ছায়ায় দলটির প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন।তুরস্কের প্রধান বিরোধী জোটের অংশ নয় এইচডিপি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা এরদোয়ানের দমন-পীড়নের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। দলটির কয়েক হাজার সদস্য, আইনপ্রণেতা এবং মেয়রকে পিকেকে-এর সঙ্গে কথিত সম্পর্কের অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।১৯৮৪ সালে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে পিকেকে। তুরস্কের সঙ্গে পিকেকের সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুর্দিদের লড়াই দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং এখন ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছে।