ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শাল্লায় শতভাগ ধান কর্তন

শাল্লা প্রতিনিধি::-তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শাল্লাও এর বাহিরে নয়।
কৃষিতেও তথ্য প্রযুক্তি ডিজিটালের ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যার ফলে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারছে কৃষকেরা। হাওরে শ্রমিক (বেপারি) সংকট থাকা সত্ত্বেও দু’সপ্তাহের মধ্যেই শতভাগ ধান কাটতে সক্ষম হয়েছে শাল্লার কৃষকেরা। উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে হাওরে বন (খড়ের) টাল ছাড়া ধান কাটার বাকি নেই। হাওরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোখাদ্য বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে ভান্ডাবিল হাওরের নন হাওরের উঁচু জায়গায় কিছু ধান কর্তনের বাকি থাকতে দেখা গেছে। এই জমিগুলো দো-পসলা ও ধানগুলো সাধারণত মাঘ মাসের শেষার্ধে রোপণ করা হয়। তাছাড়া উপজেলার ৬টি হাওরের মধ্যে কোন হাওরেই বোরো ধান কর্তনের বাকি নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়ার বিরূপ অবস্থা থাকার পরেও বৈশাখের শুরু থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনেকটাই কৃষকদের অনুকূলে থাকায় খুব অল্প সময়েই সোনার ফসল গোলায় তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। জানা যায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ৭০% মূল্য সরকারের দেওয়া ভর্তুকিতে ছোট-বড় ৬২ টি ধান কাটার হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দিনেরাতে হাওরে ধান কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সেজন্য শ্রমিক সংকটের কথা ভুলে যান উপজেলার কৃষকেরা। হারভেস্টার মেশিনে ধান কেটে সঙ্গে সঙ্গে মাড়াই করে একেবারে খড়কুটা পরিষ্কার করে দিয়েছে,এতে কৃষকদের কম সময়ে ধান তুলার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেও সাশ্রয় পেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব বলেন আমাদের উপজেলায় শতভাগ ধান কাটা শেষ। তিনি বলেন বড় হাওর ছাড়া ছোট (নন) হাওরে ৩৫% এর মত কিছু ধান রয়েছে কারন এগুলো প্রজেক্টের আওতায় দু’পশলা জমি হওয়ায় ধান পরিপক্বতে দেরি হয়।

বৃহত্তর ছায়ার হাওরের কৃষক তকবীর হোসেন বলেন এবছর আমি প্রায় একশো কের জমি করেছি ধান কাটা শেষ বাম্পার ফলন হয়েছে তিনি বলেন আবহাওয়া ভাল থাকায় ও হারভেস্টার মেশিনের সার্বিক সহযোগিতায় খুব কম সময়েই ধান কাটতে পেরেছি এই তত্ত্ব প্রযুক্তি সরকারের উন্নয়নের অন্যতম একটি অংশ, ধান রাখার জন্য বাড়িতে দুটি গোলা রয়েছে প্রায় ২২” শ মন ধান পেয়েছি বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় শাল্লা উপজেলায় এবছর প্রায় ২১ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদ করা হয়েছে যা থেকে ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ মত্রা ১ লক্ষ মেট্রিকটন যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

শাল্লায় শতভাগ ধান কর্তন

আপডেট সময় ০৩:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

শাল্লা প্রতিনিধি::-তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শাল্লাও এর বাহিরে নয়।
কৃষিতেও তথ্য প্রযুক্তি ডিজিটালের ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যার ফলে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারছে কৃষকেরা। হাওরে শ্রমিক (বেপারি) সংকট থাকা সত্ত্বেও দু’সপ্তাহের মধ্যেই শতভাগ ধান কাটতে সক্ষম হয়েছে শাল্লার কৃষকেরা। উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে হাওরে বন (খড়ের) টাল ছাড়া ধান কাটার বাকি নেই। হাওরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোখাদ্য বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে ভান্ডাবিল হাওরের নন হাওরের উঁচু জায়গায় কিছু ধান কর্তনের বাকি থাকতে দেখা গেছে। এই জমিগুলো দো-পসলা ও ধানগুলো সাধারণত মাঘ মাসের শেষার্ধে রোপণ করা হয়। তাছাড়া উপজেলার ৬টি হাওরের মধ্যে কোন হাওরেই বোরো ধান কর্তনের বাকি নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়ার বিরূপ অবস্থা থাকার পরেও বৈশাখের শুরু থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনেকটাই কৃষকদের অনুকূলে থাকায় খুব অল্প সময়েই সোনার ফসল গোলায় তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। জানা যায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ৭০% মূল্য সরকারের দেওয়া ভর্তুকিতে ছোট-বড় ৬২ টি ধান কাটার হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দিনেরাতে হাওরে ধান কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সেজন্য শ্রমিক সংকটের কথা ভুলে যান উপজেলার কৃষকেরা। হারভেস্টার মেশিনে ধান কেটে সঙ্গে সঙ্গে মাড়াই করে একেবারে খড়কুটা পরিষ্কার করে দিয়েছে,এতে কৃষকদের কম সময়ে ধান তুলার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেও সাশ্রয় পেয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব বলেন আমাদের উপজেলায় শতভাগ ধান কাটা শেষ। তিনি বলেন বড় হাওর ছাড়া ছোট (নন) হাওরে ৩৫% এর মত কিছু ধান রয়েছে কারন এগুলো প্রজেক্টের আওতায় দু’পশলা জমি হওয়ায় ধান পরিপক্বতে দেরি হয়।

বৃহত্তর ছায়ার হাওরের কৃষক তকবীর হোসেন বলেন এবছর আমি প্রায় একশো কের জমি করেছি ধান কাটা শেষ বাম্পার ফলন হয়েছে তিনি বলেন আবহাওয়া ভাল থাকায় ও হারভেস্টার মেশিনের সার্বিক সহযোগিতায় খুব কম সময়েই ধান কাটতে পেরেছি এই তত্ত্ব প্রযুক্তি সরকারের উন্নয়নের অন্যতম একটি অংশ, ধান রাখার জন্য বাড়িতে দুটি গোলা রয়েছে প্রায় ২২” শ মন ধান পেয়েছি বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় শাল্লা উপজেলায় এবছর প্রায় ২১ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদ করা হয়েছে যা থেকে ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ মত্রা ১ লক্ষ মেট্রিকটন যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।