শত কষ্টের মধ্যেও দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছিলেন আফসানার মা কানিজ ফাতেমা,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন আফসানা মিমি (২৬)। কিন্তু সার্টিফিকেট আর নেওয়া হলো না। তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেছে তার জীবন প্রদীপ। মেয়েকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় আফসানার মা কানিজ ফাতেমা (৫৩)।আফসানা মিমি গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ার প্রয়াত আবু হেনা মোস্তফা কামালের বড় মেয়ে।রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি মারা যান। এরপর কানিজ ফাতেমা একা হাতে দুই মেয়েকে বড় করেছেন। শত কষ্টের মধ্যেও তিনি দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছিলেন। আফসানার বোন রূপা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।আফসানা মিমি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে এমএস কোর্স সম্পন্ন করেছেন। সার্টিফিকেট আনতে যাওয়ার আগের দিন (শনিবার) মায়ের জন্য এক মাসের ওষুধ কিনে দেন তিনি।ইমাদ পরিবহনের ম্যানেজার মো. বাসু শেখ ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসটিতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন কাউন্টার থেকে ১৪ জন যাত্রী উঠেন। তাদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিচে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিবচরের ইসলামী হাসপাতালে তিনজন, লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এক জন, রয়েল হাসপাতালে একজনসহ কয়েকজন শিবচরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা
,
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::










স্নাতকোত্তরের সার্টিফিকেট নেওয়া হলো না আফসানার
-
জনস্বার্থে নিউজ ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ১০:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
- ৬৫২ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ